একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২৪ যখন শুরু হবে

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২৪ | একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২৪-২০২৫ । একাদশ শ্রেণির ভর্তি ২০২৪ | একাদশ শ্রেণির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪কলেজ ভর্তি ২০২৪এইচএসসি ভর্তি ২০২৪ | একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ Xi Class Admission 2024

সুপ্রিয় ছোট্ট ভাই ও বোনেরা! জানো কি? একাদশ শ্রেণি বা এইচএসসি হচ্ছে এমন একটি জায়গা, যেখানে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিলে আগামীতে অনেক কিছু করতে পারবে। এমনকি তুমি তোমার ক্যারিয়ার গঠন করে নিতে পারবে। তাই তোমাদের উচিত সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালো ও উন্নত কলেজে ভর্তি হওয়া।

Latest Update

২০২৪ সালের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৬ মে হতে। পোস্টটি সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে ১৪ মে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২৪

২০২৪ সালের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে শিক্ষার্থীকে অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন করতে হবে। এরপর মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হলে অবশ্যই সাথে সাথে ভর্তি নিশ্চায়ন করে নিতে হবে। এরপর কিছুদিন অপেক্ষা করে যখন চূড়ান্ত ভর্তির সময় আসবে তখন কলেজে সরাসরি গিয়ে ভর্তি হবে। এভাবে ৩ পর্যায়ে প্রাথমিক আবেদন ও ভর্তি নিশ্চায়ন নেওয়া হয় এবং সবশেষে সবাইকে একসাথে ভর্তি করানো হয়। বিস্তারিত নিয়ম এখান থেকে পড়ুন

আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন : HSC Helpline

আবেদন সময়২৬ মে হতে ১১ জুন ২০২৪ পর্যন্ত
আবেদন নিয়মএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন নিয়ম
মেধাতালিকার ফল প্রকাশ— জুন ২০২৪, রাত ৮ ঘটিকার সময়
১ম পর্যায়ে নিশ্চায়নের সময়— জুন ২০২৪ রাত ৮ টা পর্যন্ত
চূড়ান্ত ভর্তি চলবে— জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা 2024

২০২৪ সালের একাদশ শ্রেণির পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি এখনও প্রকাশিত হয়নি। বিধায় বিগত বছরের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩

যেভাবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবেন

১ম পর্যায়ে আবেদন : বাংলাদেশের সকল সরকারি- বেসরকারি, মাদরাসা ও কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে প্রথমে ১ম পর্যায়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন করতে হবে। যারা বোর্ড চ্যালেঞ্জ বা ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে তাদেরকেও ঐ সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। অবশ্য তাদের ফল পরিবর্তিত হলে পরবর্তীতে তারা আবার আবেদন করার সুযোগ পাবে।

তবে যারা আবেদন করার পর কলেজ তালিকা বা পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে চাইবে, তারা — জুন ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫ বার তাদের ১ম পর্যায়ে আবেদনের পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবে। তাছাড়া আবেদনের সময় শেষ হওয়ার পর “আবেদন যাচাই বাচাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি” এর জন্য সময় দেওয়া হবে। এরপর যারা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করেছে তারা আবেদন করতে পারবে।

এরপর ১ম পর্যায়ে আবেদনকারীদের ১ম মেধা তালিকার ফলাফল বের হবে। যাদের পছন্দমত ১ম চয়েজের সাবজেক্ট ও কলেজ আসবে, তাদেরকে সাথে সাথে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশ্যই ভর্তি নিশ্চায়ন করে নিতে হবে। কেননা ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে ১ম পর্যায়ের selection এবং আবেদন উভয়ই বাতিল বলে গণ্য হবে।

আর যাদের পছন্দমত ১ম চয়েজের কলেজ আসবে না, তারাও ভর্তি নিশ্চায়ন করে নিবে। কেননা ভর্তি নিশ্চায়ন করলে মাইগ্রেশন অটো চালু হয়ে যাবে। আর মাইগ্রেশন চালু হলে ২য় পর্যায়ের ফলাফলে পছন্দের কলেজ আসতে পারে। তবে কেউ যদি ভর্তি নিশ্চায়ন বা মাইগ্রেশন করতে না চায়, তাহলেও পারবে। তবে এ জন্য তার ১ম পর্যায়ের আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। আর ২য় পর্যায়ে নতুন করে আবেদন ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।

যাইহোক ১ম পর্যায়ে ভর্তি নিশ্চায়ন করে ফেললে চূড়ান্ত ভর্তি বা মাইগ্রেশনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবে। আর চূড়ান্তভাবে কলেজে ভর্তি হতে চূড়ান্ত ভর্তির সময় ফি ও কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভর্তি হতে হবে। তাই উক্ত সময়ের মধ্যে কলেজ বা মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন নিয়ম

২য় পর্যায়ে আবেদন : যাদের ১ম পর্যায়ে কোন কলেজ আসেনি অথবা আসলেও পছন্দের কলেজ আসেনি তারা ২য় পর্যায়ে — হতে — জুন ২০২৪ তারিখ রাত ৮:০০ টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। যারা ২য় পর্যায়ে আবেদন করবে তারা অবশ্যই তাদের জিপিএ এর সাথে আবেদনকৃত কলেজের মিনিমাম যোগ্যতার সাথে মিলিয়ে নিবে, তাররপর কলেজ সেলেক্ট করে আবেদন করবে। ২য় পর্যায়ে আবেদনের জন্য বিভিন্ন কলেজের খালি (ফাকা) আসন সংখ্যা ২০২৩ দেখুন

তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, ২য় পর্যায়ে আবেদন করার চেয়ে ১ম পর্যায়ে যেই কলেজ আসুক ভর্তি নিশ্চায়ন করে নেওয়া ভালো। কেননা ভর্তি নিশ্চায়ন করলে অটো মাইগ্রেশন অন হবে। আর সে জন্য ২য় পর্যায়ে যখন ফল দিবে তখন তোমার পছন্দের কলেজ আসতে পারে।

একাদশ শ্রেণীর মাইগ্রেশন কি এবং কিভাবে করবে তা এখানে দেখুন

কিছুদিন পর ২য় মেধাতালিকা এবং ১ম মাইগ্রেশনের ফলাফল বের হবে। পূর্বের মত যাদের পছন্দমত ১ম চয়েজের সাবজেক্ট ও কলেজ আসবে, তাদেরকে সাথে সাথে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন করে নিতে হবে এবং চূড়ান্ত ভর্তির জন্য অপেক্ষা করবে।

আর যাদের পছন্দমত সাবজেক্ট ও কলেজ আসবে না, তারা পূণরায় ৩য় পর্যায়ে আবেদনকারীদের সাথে মাইগ্রেশন করতে পারবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : ১) যারা ১ম পর্যায়ে কোনো কলেজে নির্বাচিত (selection) হয়নি, তারা কোন প্রকার ফি দেওয়া ব্যতীত ২য় পর্যায়ে আবেদন করতে পারবে। ২) যারা ইতিমধ্যে কোনো কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেনি অথবা ১ম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত হয়েও যারা নিশ্চায়ন করেনি, তারা আবেদন ফি বাবত ১৫০/- টাকা দিয়ে ২য় পর্যায়ে আবেদন করতে পারবে। ৩) আর যারা পূর্বে আবেদন ফি দিয়েছে কিন্তু আবেদন করেনি তারাও আবেদন করতে পারবে।

গুরুত্বপূর্ণ লিংক

সিকিউরিটি কোড পুনরুদ্ধার করতে এখানে ক্লিক করুন মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করতে এখানে ক্লিক করুন

৩য় ধাপ : ২য় পর্যায়ে যাদের কোন ফলাফল আসেনি অথবা ফলাফল আসলেও ভর্তি নিশ্চায়ন করেনি অথবা যারা এখনও একাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেনি, তারা সর্বশেষ ধাপ ৩য় পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ পাবে।

তারপর সর্বশেষ ৩য় মেধাতালিকা এবং ২য় মাইগ্রেশনের ফলাফল বের হবে। এখন যাদের যেটা ফলাফল আসবে, সেটাতেই ভর্তি হতে হবে। তাই যেই রেজাল্ট আসুক না কেন সাথে সাথে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন করে নিতে হবে এবং চূড়ান্ত ভর্তির জন্য অপেক্ষা করবে। চূড়ান্ত ভর্তি ২-১ দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে।

যাইহোক চুড়ান্তভাবে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তির নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে যে কলেজে চান্স পাবে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সে কলেজে গিয়ে কলেজের নিয়মানুযায়ী ভর্তি হতে হবে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভর্তি ফি নিম্নে বিস্তারিত দেখুন।

৩য় পর্যায়ে যারা চান্স পাবে তাদের করণীয়

Important Update News : একাদশ শ্রেণীর ভর্তি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে “নীতিমালা অনুযায়ী এই বছর আর ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে না”। এটা বোর্ড ই ভালো জানে। কেননা গত বছর তারা নীতিমালা মানে নি। বরং ৫ বার আবেদন করার সুযোগ দিয়েছিল। তাই রিস্ক থেকে মুক্তি থাকার জন্য যারা চান্স পাবে নিশ্চায়ন করে নিবে। কেননা পরে তোমরা কলেজ পরিবর্তন করার সুযোগ পাবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন নিয়ম

বিগত কয়েক বছরের মত এবারও এসএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে। তবে এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনে করা যাবে এবং মাদরাসা, কলেজ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সবাইকে একই নিয়মে আবেদন করতে হবে।

তাই আবেদন প্রক্রিয়া অনেক লম্বা আলোচনার ব্যাপার হওয়ায় আলাদাভাবে পোস্ট করা হয়েছে। নিম্নের লিংক থেকে দেখে নিন যেভাবে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন তা জানতে এখানে ক্লিক করুন

একাদশ শ্রেণিতে আবেদন যোগ্যতা ২০২৪

১) দেশের যেকোন শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এসএসসি বা দাখিল বা এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নীতিমালার অন্যান্য শর্ত সাপেক্ষে যেকোন কলেজ বা সমমান (মাদরাসা, কারিগরি) প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। তবে বিভিন্ন কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক যোগ্যতা রয়েছে নিম্নে দেখে নিন :

একাদশ শ্রেণিতে বিভিন্ন কলেজে ভর্তির যোগ্যতা ও আসন সংখ্যা ২০২৩ দেখুন

২) আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এসএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবে। তবে তাদেরকে বোর্ডে ম্যানুয়ালি (সরাসরি কাগজে কলমে) আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের বয়সের কোনো বাধা-নিষেধ নেই।

৩) এভাবে বিদেশি কোন বোর্ড বা অনুরুপ কোন প্রতিষ্ঠান হতে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড ঢাকা, কর্তৃক তার সনদের মান নির্ধারণের পর উপোরিউক্ত শর্ত সাপেক্ষে ভর্তির যোগ্য হবে।

একাদশ শ্রেণির ভর্তি রেজাল্ট দেখার নিয়ম ২০২৪

একাদশ শ্রেণীর ভর্তি রেজাল্ট দুইভাবে দেখা যায়: এসএমএস ও ওয়েবসাইট। এসএমএস এর মাধ্যমে বোর্ড সময়মত শিক্ষার্থীর মোবাইলে ফল জানিয়ে দিবে। আর দ্বিতীয় পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি ফল জানতে পারবে। উল্লেখ্য যে রেজাল্ট, নির্ধারিত তারিখের রাত ৮ টায় প্রকাশিত হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির রেজাল্ট ২০২৩ সহ বিস্তারিত দেখুন এখানে

১ম ধাপ : উপরিউক্ত লিংকে ক্লিক করার পর “Result” অপশনে ক্লিক করুন। এরপর প্রদর্শিত তথ্য ছকে এসএসসি রোল নম্বর দিন। এরপর এসএসসি পরীক্ষার বোর্ড, পাসের সাল এবং এসএসসির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিন।

২য় ধাপ : এরপর Verification কোডটি সঠিকভাবে পূরণ করে “View Result” Button -এ ক্লিক করতে হবে। এখন আপনি একাদশ শ্রেণিতে কোন কলেজে চান্স পেয়েছেন কি না তা দেখতে পারবেন।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আগামী –/০৬/২০২৪ তারিখ হতে –/০৬/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা ৮:০০ টার মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ বাদে রেজিস্ট্রেশন ফি ২২৮/= টাকা (ওয়েবসাইটে উল্লেখিত অপারেটর-এর মাধ্যমে) জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে। তবে পরবর্তীতে মাইগ্রেশন হলে শিক্ষার্থীকে নতুন করে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে না অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না।

আরও দেখুন : একাদশ শ্রেণির ভর্তি নিশ্চায়ন পদ্ধতি ২০২৩

কলেজ চয়েজ ও আবেদন ফি : আবেদন করার সময় একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ৫ টি কলেজে আবেদন করলে ১৫০/- ফি দিতে হবে। ঠিক তেমনিভাবে ১০ টি কলেজে আবেদন করলেও আবেদন ফি বাবত ১৫০/- টাকা একবারই দিতে হবে।

একাদশ শ্রেণীর ভর্তি ফি কত টাকা ২০২৪

স্থানভেদে এইচএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিকের কলেজ ৪ ধরণের। আবার ঐ ৪ ধরণের কলেজকে সরকারি ও বেসরকারি ভেদে ভাগ করলে ৮ ধরণের কলেজ পাওয়া যায়, সেই হিসেবে কলেজ ভেদে ভর্তি ফি এর তারতম্য হয়ে থাকে। নিম্নে আমরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির একটা সম্ভাব্য ভর্তি ফি জেনে নিব :-

♥→১) ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত (সরকারি) কলেজে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ফি ও ভর্তি ফি ৫,০০০ + (আনুষঙ্গিক খরচ ৩-৫ হাজার) সহ মোট প্রায় ৮-১০ হাজার টাকার মত লাগবে। আর ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নন-এমপিওভুক্ত (বেসরকারি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে উন্নয়ন ফি, সেশন ফি ও ভর্তি ফি ৭,৫০০ + (আনুষঙ্গিক খরচ ৫-৭ হাজার) সহ মোট প্রায় ১২-১৫ হাজার টাকার মত লাগবে। আর ইংরেজি ভার্সনে শুধু ভর্তি ফি ১,০০০/- টাকা বেশি লাগবে। অর্থাৎ ৮,৫০০ টাকা আসবে আর বাদ বাকি বাংলা মিডিয়ামের মত।

♥→২) আর ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় অর্থাৎ চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল এসব এলাকায় সরকারি কলেজের বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে ৩,০০০ + (আনুষঙ্গিক খরচ ২.৫-৪ হাজার) সহ মোট প্রায় ৫.৫-৭ হাজার টাকার মত লাগবে। আর বেসরকারি কলেজে বাংলা মিডিয়ামে উন্নয়ন ফি সহ ভর্তি ফি ৫,০০০ + (আনুষঙ্গিক খরচ ২.৫-৪ হাজার) সহ মোট প্রায় ৭.৫-৯ হাজার টাকার মত লাগবে। আর ইংরেজি ভার্সনে শুধু ভর্তি ফি ১,০০০/- টাকা বেশি লাগবে। অর্থাৎ ৬,০০০ টাকা আসবে আর বাদ বাকি বাংলা মিডিয়ামের মত।

♥→৩) জেলা এলাকায় এমপিওভুক্ত (সরকারি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ২,০০০ + (আনুষঙ্গিক খরচ ১.৫-২ হাজার) সহ মোট প্রায় ৩.৫-৪ হাজার টাকার মত লাগবে। আর জেলা পর্যায়ের বেসরকারি কলেজে বাংলা মিডিয়ামে উন্নয়ন ফি সহ ভর্তি ফি ৩,০০০ + (আনুষঙ্গিক খরচ ১.৫-২ হাজার) সহ মোট প্রায় ৪.৫-৫ হাজার টাকার মত লাগবে। আর ইংরেজি ভার্সনে শুধু ভর্তি ফি ১,০০০/- টাকা বেশি লাগবে। অর্থাৎ ৪,০০০ টাকা আসবে আর বাদ বাকি বাংলা মিডিয়ামের মত।

♥→৪) আর মফস্বল / উপজেলা / গ্রাম এলাকার এমপিওভুক্ত (সরকারি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ১,৫০০ + (আনুষঙ্গিক খরচ ১-২ হাজার) সহ মোট প্রায় ২.৫-৩.৫ হাজার টাকার মত লাগবে। আর বেসরকারি কলেজে বাংলা মিডিয়ামে উন্নয়ন ফি সহ ভর্তি ফি ২,৫০০ + (আনুষঙ্গিক খরচ ১.৫-২ হাজার) সহ মোট প্রায় ৪-৪.৫ হাজার টাকার মত লাগবে। আর ইংরেজি ভার্সনে শুধু ভর্তি ফি ৫০০/- টাকা বেশি লাগবে। অর্থাৎ মোট ভর্তি ফি আসবে ৫-৬.৫ এর মত।

দেখলেন তো! স্থানভেদে কলেজের ফি এর কত পার্থক্য হয়? এখানে একটা আনুমানিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। আশাকরি এরবেশি ভর্তি ফি লাগবে না। তাছাড়া আপনারা চাইলে আরও এক হাজার টাকা বেশি নিতে পারেন। আর হ্যা, প্রত্যেক কলেজে নিজ নিজ নোটিশ বোর্ডে বা ওয়েবসাইটে তাদের বেতন, ফি সহ ভর্তি হতে মোট কত টাকা লাগবে তা সব বলে দিবে।

দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনুমোদিত ফির বেশি নেওয়া যাবে না উল্লেখ করে নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনুমোদিত সকল ফি রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগবে

কলেজে চূড়ান্ত ভর্তি হওয়ার সময় নিম্নোক্ত কাগজপত্রের মূল কপি সহ প্রত্যেকটির ২ কপি ফটোকপি নিয়ে উপস্থিত হতে হবে। তারপর কলেজের ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে, তা সঠিক ও সতর্কতার সাথে পূরণ করে উক্ত কাগজপত্রসমূহ সহ ভর্তি ফি জমা দিয়ে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। উল্লেখ্য এখানে শুধু এসএসসি’র কথা বললেও দাখিল ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এগুলো প্রযোজ্য।

আরও দেখুন : একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস

  1. ভর্তি ফরম। এটা ভর্তি হওয়ার সময় কলেজ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
  2. এসএসসি মূল মার্কশীট বা একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট – মূল কপি সহ ফটোকপি ২ কপি।
  3. এসএসসি মূল প্রসংশাপত্র বা টেস্টিমোনিয়াল – মূল কপি সহ ফটোকপি ২ কপি।
  4. এসএসসি মূল প্রবেশপত্র বা এডমিট কার্ড – মূল কপি সহ ফটোকপি ২ কপি।
  5. এসএসসি রেজিস্ট্রেশন কার্ড– ফটোকপি ২ কপি।
  6. পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ড– ফটোকপি ২ কপি।
  7. শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন কার্ড– ফটোকপি ২ কপি।
  8. শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প সাইয ছবি– ৪ কপি।
  9. অভিভাবকের পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প সাইয ছবি– ২ কপি।
  10. শিক্ষা / পাঠ বিরতি মূল সনদপত্র (যারা ২০২২ ও ২০২৩ সালে ssc পাশ করেছে)
  11. কোটার সনদপত্র (যারা কোটায় আবেদন করেছে, তাদের জন্য)
  12. একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সিকিউরিটি কোড।
  13. একটি সচল মোবাইল নম্বর।

  একাদশ শ্রেণিতে চূড়ান্ত ভর্তি পদ্ধতি

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য যারা মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্ত হবে, শুধু তারাই একাদশ শ্রেণীর চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে। চূড়ান্ত ভর্তির সময় –/০৭/২০২৪ তারিখ হতে –/০৭/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভর্তি হওয়ার জন্য উক্ত সময়ের মধ্যে উপোরিউক্ত কাগজপত্র সহ সংশ্লিষ্ট কলেজে গিয়ে ভর্তি হতে হবে।

অবশ্য কলেজে যাওয়ার আগে প্রথমে উপোরিউক্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং মার্কশীট, প্রশংসাপত্র, মূল প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মূল কপি সহ ফটোকপি আরও ২ কপি করে সংগে নিতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের (উপরে উল্লেখিত) ছবি নিতে হবে। আর কলেজে ভেদে ভর্তি ফি ভিন্ন হতে পারে। তাই এটা নিজ নিজ কলেজ থেকে জেনে নিবে। তবুও উপরের পয়েন্ট থেকে একটা ধারনা পেতে পার।

কলেজ পরিবর্তন করতে চাইলে যা করবে

যারা ৩য় পর্যায়ে আবেদন করেও পছন্দের কলেজে চান্স পাও নাই অথবা যারা ভর্তি নিশ্চায়ন বাতিল করে অন্য কলেজে ভর্তি হতে চাও, তাদের জন্য উত্তর হচ্ছে তোমরা যে কলেজে চান্স পাইছো সেই কলেজে ভর্তি হয়ে যাও। কেননা পরবর্তীতে কলেজ পরিবর্তন করার সুযোগ পাবে। একাদশ শ্রেণির কলেজ পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য এখানে দেখুন

আরও দেখুন দ্বাদশ শ্রেণীর কলেজ ট্রান্সফার পরিবর্তন

যেভাবে কলেজে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে

একাদশ শ্রেণিতে আবেদনকারীদের মধ্যে যদি কয়েক জনের একই জিপিএ হয়, তাহলে তাদের এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে মাদরাসা, কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। এভাবে বিগত সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।

অর্থাৎ মেধাক্রম নির্ণয়ে জিপিএ ও নম্বরের ক্ষেত্রে নতুন-পুরাতন, জেনারেল, মাদ্রাসা, উন্মুক্ত ও কারিগরি বোর্ড এর শিক্ষার্থী সবই সমান।

বিজ্ঞান গ্রুপ : বিজ্ঞান গ্রুপে আবেদনকারীদের মধ্যে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত / জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।  অর্থাৎ  যাদের সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বা জীববিজ্ঞানে বেশি নাম্বার থাকবে সেই এগিয়ে থাকবে।

এরপরও যদি বিজ্ঞান বিভাগে আবেদনকারীদের মেধাক্রম নির্ধারণে বা প্রার্থী বাছাইকালীন উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।  অর্থাৎ প্রথমে ইংরেজি এর নম্বর দিয়ে বিবেচনা করা হবে। এতে সমাধান না হলে পদার্থবিজ্ঞানের নম্বর। এভাবে প্রয়োজনে রসায়নের নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ : এর ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

বিভাগ পরিবর্তনকারীদের ক্ষেত্রে : এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জি.পি.এ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।

একাদশ শ্রেণিতে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন -০১ঃ একাদশ শ্রেণিতে প্রাথমিক আবেদন করার পর, কলেজ পরিবর্তন করা যাবে?
উত্তরঃ হ্যা, করা যাবে।

প্রশ্ন -০২ঃ আবেদন করার পর চয়েজ তালিকা থেকে পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে?
উত্তরঃ হ্যা, আবেদন করার পর, প্রয়োজনে চয়েজ তালিকা থেকে পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন। এতে যেভাবেই আবেদন করেন না কেন কোনো সমস্যা নেই।

প্রশ্ন -০৩ঃ আবেদন করার পর কতবার আবেদন সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ আবেদন করার পর থেকে সর্বোচ্চ পাচ (০৫) বার আবেদন সংশোধন করা যাবে এবং এই সংশোধনের শেষ তারিখ –/০৬/২০২৪.

প্রশ্ন -০৪ঃ অনলাইন ও এসএমএস, উভয়ভাবে আবেদন করা যাবে?
উত্তরঃ  না, একজন শিক্ষার্থী শুধুমাত্র অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারবে।

ভর্তির ক্ষেত্রে গ্রুপ বা শাখা নির্বাচন

সাধারণ বোর্ড : বিজ্ঞান শাখা / বিভাগের শিক্ষার্থী যেকোন বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা / গ্রুপের শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার যেকোন একটিতে ভর্তি হতে পারবে। ব্যবসায় শাখা / গ্রুপের শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখার যেকোন একটিতে ভর্তি হতে পারবে। নিম্নে টেবিল আকারে দেখুন :-

বোর্ডবিভাগ / শাখাভর্তি যোগ্য বোর্ডভর্তি যোগ্য বিভাগ
সাধারণবিজ্ঞানসাধারণ যেকোনো বিভাগ
সাধারণমানবিকমানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা
সাধারণব্যবসায় শিক্ষা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা

মাদরাসা বোর্ড : বিজ্ঞান শাখা / গ্রুপের শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের যে কোন শাখায় ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা / গ্রুপের শিক্ষার্থী সাধারন শিক্ষা বোর্ডের মানবিক ও ব্যবসায় শাখায় এবং মাদরাসা বোর্ডের সাধারন ও মুজ্জাব্বিদ গ্রুপের যেকোনো একটি গ্রুপে ভর্তি হতে পারবে। মুজ্জাব্বিদ গ্রুপের শিক্ষার্থী, সাধারন শিক্ষা বোর্ডের মানবিক ও ব্যবসায় শাখায় এবং মাদরাসা বোর্ডের সাধারন ও মুজ্জাব্বিদ গ্রুপের যেকোনো একটি গ্রুপে ভর্তি হতে পারবে। দাখিল (ভোকেশনাল) গ্রুপের শিক্ষার্থী, সাধারন শিক্ষা বোর্ডের  মানবিক ও ব্যবসায় শাখায় এবং মাদরাসা বোর্ডের সাধারন ও মুজ্জাব্বিদ গ্রুপের যেকোনো একটি গ্রুপে ভর্তি হতে পারবে।

বোর্ডবিভাগ / শাখাভর্তি যোগ্য বোর্ডভর্তি যোগ্য বিভাগ
মাদ্রাসাবিজ্ঞানমাদ্রাসা / সাধারণযেকোনো বিভাগ
মাদ্রাসামানবিকমানবিক, মুজাব্বিদ (মাদ্রাসা)
ব্যবসায় (সাধারণ)
মাদ্রাসামুজাব্বিদ

কারিগরি বোর্ড : এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) গ্রুপের শিক্ষার্থী, সাধারন শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শাখায় এবং মানবিক গ্রুপের যেকোনো একটিতে  ভর্তি হতে পারবে।

প্রার্থী বা শিক্ষার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি

ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি, আলিম বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৫% আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে মােট আসনের ৫% মুক্তিযােদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপযুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। মুক্তিযােদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে।

যে সকল শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বাের্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান/বি.কে.এস.পি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী/খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বাের্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বাের্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই বাছাই পূর্বক শিক্ষার্থীকে কাঙ্খিত প্রতিষ্ঠানে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জি পি এ থাকা সাপেক্ষে) ভর্তির ব্যবস্থা নিবে।



শিক্ষার্থী নির্বাচনে মেধাক্রম নির্ধারণের পদ্ধতি

সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমােট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বাের্ড, কারিগরি শিক্ষা বাের্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।

বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মােট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীব বিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে। যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর ক্ষেত্রে সমান মােট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জি.পি.এ একই হলে সর্বমােট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাই কল্পে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি , গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন স্কুল এন্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যােগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযােগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে প্রযােজ্য ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করানাে যাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তিই অনলাইনে হবে।

কলেজ / প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের নিয়ম

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বাের্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র/ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বাের্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। এক্ষেত্রে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বাের্ডে জমা দিতে হবে।

153 thoughts on “একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২৪ যখন শুরু হবে”

  1. Shikha akter

    ভাইয়া আমি এই বছর উন্মুক্ত থেকে এস এস সি দিয়েছি আমার জন্মসাল ২০০০ আমি কি ভর্তি হতে পারব

  2. Shikha akter

    আর ভাইয়া বোর্ডে ম‍্যানুয়েলি করতে হবে মানে কি এটা কিভাবে করতে হবে

    1. ম্যানুয়ালি মানে কলেজ বা বোর্ডে গিয়ে স্বশরীরে ভর্তি হওয়া। যারা উন্মুক্ত থেকে ভর্তি হতে চাইবে তাদেরকে বোর্ডে গিয়ে ভর্তি হতে হবে। আর যারা জেনারেল থেকে ভর্তি হতে চাইবে তাদের বেলায় কলেজে গিয়ে ভর্তি হওয়া বুঝাবে। তবে জেনারেল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই সিস্টেম গতবার ছিল না। এবারও না থাকার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু এর আগে ছিল।

  3. মোঃমামুন

    কলেজে ভর্তির আবেদন করলে কি পরে পলিটেকনিকে আবেদন করা যাবে বা কলেজে ভর্তি হলে কি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে পারবে?

      1. ভাইয়া আমি এবার HSC 2023 পরীক্ষা দেওয়া কথা কিন্তু দিব না। আমি এবার আবার নতুন করে। ভর্তি হয়তে চাই কিন্তু কিভাবে হব? যদি বলতেন

        1. এখন ভর্তির সময় নাই। যদি চথুর্থ পর্যায়ে আবেদনের সুযোগ দেয় তবে ভর্তি হতে পারবে।

  4. madhabi das

    ভাইয়া আমার পয়েন্ট 4.86,,,,এখন আমি যদি একটা ভালো কলেজ এ প্রথম চয়েজ দেই এবং অই কলেজ থেকে আরেকটু নিম্ন মানের আরেকটা তে দুই নাম্বার চয়েজ দেই কিন্তু আমার থেকে কম পয়েন্ট পাওয়া কোন স্টুডেন্ট যদি নিম্ন মানেরটাতে প্রথম চয়েজ দেয় তবে নিম্ন মানের কলেজটাতে কার অগ্রাধিকার বেশি থাকবে?

    1. যার পয়েন্ট বেশি থাকবে সে অর্থাৎ তোমার অগ্রাধিকার বেশি থাকবে।

      1. madhabi das

        তার মানে অনার্স এর মতো প্রথম চয়েজ টা গুরুত্বপূর্ণ নয় এইখানে?

        1. হ্যা, তবে বোর্ড চাইবে তোমার যোগ্যতা অনুযায়ী তোমাকে ১ম চয়েজেই চান্স দিতে।

    2. শান্ত

      আচ্ছা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজে আবেদন করতে পারে নি। এখন কি আবেদন করতে পারবে? নাকি এক বছর লস?

  5. মান্নান

    পাসিং ইয়ার ২০১৯, GPA 4.67, মানবিক বিভাগ। ভর্তি হওয়ার কোন সুযোগ আছে কি। থাকলে কিভাবে একটু জানাবেন প্লিজ

  6. ফারহান তানভীর

    তৃতীয়বারে সুযোগ হয়নি একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার 😔😔

      1. সানজিদা আক্তার শাম্মী

        ভাইয়া আমিও ৩য় পযার্য়ে কোনো কলেজ আসে নাই। এখন কি আমি এবছর ভর্তি হতে পারব না প্লিজ ভাইয়া বলেন

        1. ভালোমত কলেজ চয়েজ দিতে পারেননি, তাই এমন হয়েছে। এবার যদি ৪র্থ পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ দেয় তাহলে পারবেন।

  7. ভর্তির জন্য কোনো ডকুমেন্ট কি সত্যায়িত করতে হবে?

    1. কোটার সনদের ফটোকপিতে সত্যায়িত করা লাগতে পারে। তাও কলেজ চায় না।

  8. ভাইয়া আমি তৃতীয় বারে ও ভর্তি নিশ্চিত করিনি😔😔

  9. Md sojib ahmmod

    আমি পরিবারে সমস্যা কারণে আবেদন করতে পারি নি,,
    এখন আর আবেদন করার চান্স পাব
    ভাই প্লিজ রিপ্লাই

    1. যদি ৪র্থ পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ দেয় তাহলে পারবে। নতুবা না।

      1. ৫ম বার আবেদন কি হবে। ভাইয়া প্লিজ জানাবেন

  10. ছাইদুর রহমান

    ৪র্থ পর্যায়ে আবেদনের সুযোগ দিবে কিনা? কোথাও কোথাও চান্স হয়নি। দয়াকরে জানাবেন।

  11. MD:Mamunur Rashid

    যদি অভিভাবক এর অবহেলায় সর্বশেষ আবেদনের পরও ভর্তি না হতে পারে, তাদের এখন কি আবেদন করার বা কোথাও ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে। বা যে কলেজে সুযোগ পেয়েছিল ঐকলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে কি?

  12. Faruk Ahmed Rana

    বাংলাদেশে মাদ্রাসায় কেউ জেনারেল গ্রুপে পড়া মানে কি সে আর্টসে পড়ছে? এবং কেউ মাদ্রাসায় জেনারেল গ্রুপে পড়লে সে ভার্সিটিতে কোন কোন ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে?

    1. শুধুমাত্র মানবিক বিভাগের অধীনে যত বিষয় বা ইউনিট আছে সেসব

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!