মাস্টার্স ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩-২০২৪ । মাস্টার্স ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২২-২০২৩ : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ সমূহে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) ফাইনাল প্রোগ্রামের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি আজ ২৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ প্রকাশিত হয়েছে।
বি.দ্র : টাইটেলে শিক্ষাবর্ষ ২০২৩-২০২৪ দেয়া থাকলেও উক্ত মাস্টার্স (নিয়মিত) ভর্তির একাডেমিক শিক্ষাবর্ষ হচ্ছে ২০২১-২০২২. তাই নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ২০২১-২০২২ লেখা থাকবে।
আপনি যদি ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) ফাইনাল প্রোগ্রামের ভর্তি তথ্য সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আপনাকে স্বাগতম। এখানে মাস্টার্স নিয়মিত ভর্তি কবে শুরু হবে তা সহ মাস্টার্স ভর্তি সংক্রান্ত খুটিনাটি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মাস্টার্স ভর্তির সময় ২০২৪
২য় ধাপে প্রাথমিক আবেদন শুরু | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ হতে |
২য় ধাপে প্রাথমিক আবেদন শেষ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত |
ফি জমা দেয়ার সময় | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত |
কলেজ নিশ্চায়ন | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত |
১ম মেধাতালিকার ফল | — মার্চ ২০২৪ |
আরও দেখুন: মাস্টার্স প্রফেশনাল ভর্তি
মাস্টার্স ভর্তির যোগ্যতা ২০২৪
ক) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চার বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৪৫% নম্বর অথবা গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতিতে ন্যূনতম সিজিপিএ ২.২৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
খ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত) পরীক্ষায়, সনাতন পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৪৫% নম্বর অথবা গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতিতে ন্যূনতম সিজিপিএ ২.২৫ প্রাপ্ত এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিন বছর মেয়াদী স্নাতক (পাস) নিয়মিত পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৪৫% নম্বর অথবা গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতিতে ন্যূনতম সিজিপিএ ২.২৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
নিম্নে ছক আকারে দেখুন :
শ্রেণি | পাশের সন | ন্যূনতম যোগ্যতা |
---|---|---|
স্নাতক (সম্মান) / অনার্স | ২০১৬-২০২১ | cgpa 2.25 / ৪৫% নম্বর |
প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স / মাস্টার্স ১ম পর্ব | ২০১৬-২০২১ | cgpa 2.25 / ৪৫% নম্বর |
বি. দ্র. উপরে পাশের সন ২০২১ দেওয়া থাকলেও যারা ২০২৩ সালে অনার্স পাশ করেছেন অবশ্যই তারা এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। কেননা একাডেমিক নিয়ম অনুযায়ি ২০২১, যদিও পরীক্ষা ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া প্রশ্ন পত্রে একটু খেয়াল করলেই দেখবেন কত সালের পরীক্ষা দিয়েছেন? আশাকরি বুঝেছেন।
গ) তবে চার বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় পাস ডিগ্রী প্রাপ্ত কোন শিক্ষার্থী এবং এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স (প্রাইভেট) ১ম পর্ব / প্রিলিমিনারী টু মাস্টার্স (প্রাইভেট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কোন শিক্ষার্থী এ ভর্তি কার্যক্রমে আবেদন করতে পারবে না।
বিষয়ভিত্তিক মাস্টার্স ভর্তির যোগ্যতা ২০২৪
মাস্টার্স নিয়মিত ভর্তির শর্তাবলি
ক) উপরিউক্ত শর্ত সাপেক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স অথবা মাস্টার্স (নিয়মিত) ১ম পর্ব বা প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স (নিয়মিত) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র তাদের পঠিত বিষয়ে আবেদন করতে পারবে।
খ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স (নিয়মিত/প্রাইভেট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অথবা অন্য যে কোন প্রােগ্রামে বর্তমানে অধ্যয়নরত কোন শিক্ষার্থী ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবে না।
গ) “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোন শিক্ষা কার্যক্রমে বর্তমানে আমি ভর্তি/অধ্যয়নরত নই। দ্বৈত ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী উভয় ভর্তি বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিতে বাধ্য থাকবাে”- মর্মে আবেদনকারীর স্বাক্ষরিত একটি অঙ্গীকারনামা অনলাইন আবেদনে স্ক্যান করে আপলােড করতে হবে। উক্ত শর্ত ভঙ্গ করে কোন শিক্ষার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তার উভয় ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স ভর্তির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স (শেষ পর্ব) নিয়মিত প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে সর্বপ্রথম আবেদন করার যোগ্য হতে হবে। আবেদন করার যোগ্য হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রাথমিক আবেদন করতে হবে। (বি.দ্র. প্রাথমিক আবেদন করার সম্পূর্ণ নিয়ম নিচে দেওয়া আছে) – প্রাথমিক আবেদন শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়ভিত্তি ১ম মেধাতালিকার ফলাফল প্রকাশ হবে।
১ম মেধাতালিকায় যারা উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে অবশ্যই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত ভর্তির ফরম পূরণ করতে হবে। ভর্তি ফরম পূরণ করা শেষ হলে আলাদাভাবে ভর্তি ফি প্রদান করতে হবে। ফি প্রদান করার পর উক্ত ফরমের উপরে RB number এবং সাক্ষরের জায়গায় সাক্ষর দিতে হবে। এসব করা হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট কলেজে উক্ত ফরম সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে।
মাস্টার্স ভর্তির প্রাথমিক আবেদন নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স (নিয়মিত) শেষ পর্বে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন সাতটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। আবেদন করার আগে নিম্নোক্ত কাগজপত্র বা তথ্যাদি সাথে রাখুন। প্রাথমিক আবেদন করতে যা যা লাগবে নিম্নরুপ :
- স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতক (পাস) ও মাস্টার্স ১ম পর্ব পরীক্ষার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর।
- এক কপি (সদ্য তোলা) পাসপোর্ট সাইয রঙ্গিন ছবি
- একটি ইমেইল এড্রেস ও একটি মোবাইল নম্বর
- পূরণকৃত একটি অঙ্গীকার নামা। নিম্নোক্ত লিংক থেকে অঙ্গীকার নামাটি ডাউনলোড করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও স্বাক্ষর দিয়ে একটি পিডিএফ ফাইল বানিয়ে আগে রাখতে হবে। অথবা আপনারা চাইলে নিম্নে দেওয়া পিডিএফ লিংক থেকে ফরম বের করে নিজ হাতে লিখে ফটো তুলে pdf ফাইল বানাতে পারবেন। নিম্নে আমি উভয় পদ্ধতিতে অঙ্গীকার নামা তৈরির নিয়ম বলব। ইন-শা-আল্লাহ!
প্রথম ধাপ : প্রাথমিক আবেদন করতে প্রথমে এই লিংকে ক্লিক করে Masters Tab -এ গিয়ে Apply Now (regular) অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনি যেখান থেকে পাশ করেছেন, সেটা সিলেক্ট করুন।
দ্বিতীয় ধাপ : ক্লিক করার পর যে পেইজ আসবে, সেই পেজে আবেদনকারীর স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতক (পাস) ও মাস্টার্স ১ম পর্ব পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড এর নাম এবং পরীক্ষা পাসের দিন। তারপর Next বাটনে ক্লিক করুন।
তৃতীয় ধাপ : আবেদনকারীর স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতক (পাস) ও মাস্টার্স ১ম পর্ব পরীক্ষার তথ্য সঠিক হলে, সে তার স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতক (পাস) ও মাস্টার্স ১ম পর্ব পরীক্ষার ফলাফলসহ সব তথ্য দেখতে পাবে। এবং নিচের দিকে আবেদনকারীর নামসহ তার পিতা-মাতার নাম, জন্মতারিখ এবং লিঙ্গ অপশন দেওয়া থাকবে, সেই অপশন ভাল করে দেখবেন যে, কি দেওয়া আছে। (বি.দ্র. লিঙ্গ আর জন্মতারিখ ভুল থাকলে ঠিক করে নিতে পারবেন) তারপর Next বাটনে ক্লিক করুন।
চতুর্থ ধাপ : তারপর যে পেজ আসবে, সে পেজের একেবারে বাম দিকের প্রথম কলামে দেখতে পাবেন, Eligible Subject List দেওয়া আছে। এই তালিকা থেকে আপনি জানতে পারবেন যে, আপনি কি কি বিষয় নিয়ে মাস্টার্স নিয়মিত শেষ পর্বে পড়তে পারবেন।
তারপর দ্বিতীয় কলাম থেকে আপনাকে কলেজ নির্বাচন করতে হবে (উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র একটি কলেজে আবেদন করতে পারবেন)। এ জন্য আপনাকে প্রথমে বিভাগ নির্বাচন করতে হবে। তারপর জেলা নির্বাচন করতে হবে। এবং সব শেষে নিচের বক্স থেকে কাঙ্ক্ষিত বা ভর্তিচ্ছু কলেজের নাম নির্বাচন করতে হবে। (কলেজটি যে বিভাগ ও জেলায় অবস্থিত, সেসব বিভাগ ও জেলার নাম দিতে হবে)
এরপর আপনি কলামে Subject choice অপশন পাবেন এবং কোন সাব্জেক্টে কত সিত আছে, তাও ডান পাশে দেখতে পাবেন। এখন, আপনি যে সাবজেক্টি প্রথম চয়েজ দিবেন, সেটাতে প্রথমে ক্লিক করুন। তারপর, দুই নম্বরে যে সাবজেক্ট চয়েজ দিবেন, সেটাতে ক্লিক করুন। এভাবে একের পর এক সাবজেক্ট চয়েজ করতে পারবেন। (উল্লেখ্য, সাবজেক্ট চয়েজ খুভ সাবধানে দিবেন) । সাবজেক্ট চয়েজ করা শেষ হলে Next বাটনে ক্লিক করুন।
পঞ্চম ধাপ : এখন যে পেজ আসবে, তাতে কোটা দেওয়া থাকবে। আপনার যদি কোনো কোটা থাকে, তাহলে Yes অপশনে ক্লিক করে কাঙ্ক্ষিত কোটা সেলেক্ট করুন। আর, যদি কোনো কোটা না থাকে, তাহলে NO অপশনে ক্লিক করুন। তারপর NEXT বাটনে ক্লিক করুন।
ষষ্ট ধাপ : এখন যে পেজ আসবে, তাতে আবেদনকারীর একটি ছবি, একটি মোবাইল নম্বর এবং একটি ই-মেইল দেওয়া লাগবে। (এখানে ছবিটির উচ্চতা ১৫০ পিক্সেল, প্রস্থ ১২০ পিক্সেল, সাইজ ৫০ কেবি এবং ফরমেট png হতে হবে। আর, আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর হলে হতে এবং ই-মেইলও)।
সপ্তম ধাপ : এবার আপনাকে একটি অঙ্গিকারনামা আপলোড করে দিতে হবে। সে জন্য সবুজ কালালের download অপশনে ক্লিক করুন। এরপর এটা ফিলাপ করে স্ক্যান করে পিডিএফ বানাবেন। তারপর সেটা choose file এ ক্লিক করে আপলোড দিন। (অবশ্য ঐ অঙ্গিকারনামার একটি ফটোকপি রাখতে হবে)
তারপর preview application এ ক্লিক করে দেখুন যে, আপনার দেওয়া সব তথ্য সঠিক হয়েছে কি না। সব কিছু ঠিকঠাক হলে নিচে থাকা Submit Application এ ক্লিক করুন। তারপর পিডিএফ আকারে একটি ফাইল বা ফরম আসবে, তা ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড করার পর তা প্রিন্ট করে নিন।
আবেদন ফি যেভাবে জমা দিবেন
আবেদন ফি জমা দেয়ার আগে ফরমটি প্রিন্ট করে ফরমটিতে আবেদনকারীর সাক্ষর দিয়ে নিম্নোক্ত কাগজপত্রসহ আবেদন ফি বাবত ৩০০/- টাকা কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পে/জমা দিতে হবে।
তবে কোনো কোনো কলেজ সরাসরি টাকা জমা নিতে পারে। আবার কোনো কোনো কলেজ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা নিতে পারে। তাছাড়া কোনো কোনো কলেজে টাকা জমা দেওয়ার পর কোনো কাগজপত্র জমা দিতে হয় না আবার কোনো কলেজে দিতে হয়। তাই প্রত্যেকে নিজ নিজ ভর্তিচ্ছু কলেজের নোটিশ দেখে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
আবেদন ফরমের সাথে যা যা জমা দিতে হবে
- আবেদনকারীকে প্রথমে প্রিন্ট করা প্রাথমিক আবেদন ফরমটির নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে।
- তারপর, উক্ত আবেদন ফরমের সংগে প্রার্থীর স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতক (পাস) ও মাস্টার্স ১ম পর্ব পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র/মার্কশীট,
- এবং প্রার্থীর স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতক (পাস) ও মাস্টার্স ১ম পর্ব পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত কপি,
- দ্বৈত ভর্তি সংক্রান্ত অঙ্গিকারনামার ফটোকপি।
- এবং আবেদন ফি বাবত ৩০০/- টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।
প্রাথমিক আবেদন করার পর করণীয়
আবেদন ফরম জমা দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে আবেদনকারীকে তার মোবাইল নম্বরে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। আবেদনকারী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলে, সংশ্লিষ্ট কলেজ আবেদনকারীর প্রাথমিক আবেদন Online -এ নিশ্চায়ন করবে। তবে সে সকল আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে SMS -এর মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, প্রাথমিক আবেদন নিশ্চায়ন ব্যতীত কোন প্রার্থীই ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। কলেজে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পরে প্রার্থী তার মোবাইল ফোনে SMS না পেলে বুঝতে হবে যে, তার আবেদন ফরম কলেজ কর্তৃক নিশ্চায়ন করা হয়নি। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেক করতে হবে যে তার আবেদন নিশ্চায়ন করা হয়েছে কিনা।
তবে, প্রাথমিক আবেদন ফরম জমা দেওয়ার পর কলেজ থেকে প্রার্থীর মোবাইলে SMS না আসলে অনলাইন এর মাধ্যমে জানতে পারবেন যে আপনার আবেদন ফরম কলেজে জমা হয়েছে কি না। তা জানতে এখানে ক্লিক করুন
মাস্টার্স নিয়মিত ফলাফল ও ভর্তি কার্যক্রম
মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রমে মেধাতালিকায় যার পয়েন্ট বেশি থাকবে, সেই প্রথমে ভর্তির সুযোগ পাবে। আর ভর্তি কার্যক্রম ও ফলাফল ১ম মেরিট, ২য় মেরিট, কোটা মেধাতালিকা, ১ম রিলিজ স্লিপ এবং ২য় রিলিজ স্লিপ এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে চূড়ান্ত ভর্তি পদ্ধতি
২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (নিয়মিত) প্রোগ্রামে চূড়ান্ত ভর্তির জন্য প্রার্থীকে এখান থেকে Masters/phd অপশনে ক্লিক করে applicant Login সিলেক্ট করুন। তারপর Masters Login অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত তথ্য ছকে প্রার্থীর রােল নম্বর ও পিন সঠিকভাবে এন্ট্রি দিতে হবে।
এরপর আপনি যে কলেজে নির্বাচিত হয়েছেন, তা দেখা যাবে। এবং একইসাথে Application Form নামে একটি অপশন থাকবে, চূড়ান্ত ভর্তির জন্য সেটাতে ক্লিক করতে হবে।
তারপর, যে পেজ আসবে তাতে আপনার নাম, পিতার সহ আপনি যে বিষয়ে চান্স পেয়েছেন তা সম্বলিত একটি পেজ আসবে।
সেখানে আপনাকে Nationality এর বক্সে Bangladesh লিখবেন। তারপর, নিজ ধর্ম select করবেন। এরপর, একজন গার্জিয়ান এর নাম দিবেন। তারপর, গার্জিয়ান এর ফোন নম্বর এবং তার বার্ষিক আয় দিবেন। এরপর
নিচে একটি লেখা থাকবে যে, Do you want to change your assignment subject on based your preference list? অর্থাৎ আপনি যদি ১ম চয়েজ না পান, তাহলে Yes এ ক্লিক করবেন নতুবা No তে ক্লিক করবেন।
এরপর, নিচের দিকে (বাম পাশে) আপনার স্বায়ী এবং(ডান পাশে) বর্তমান ঠিকানা দিবেন। তারপর সবকিছু সঠিক হলে Save Information এ ক্লিক করুন।
তারপর যে পেজ আসবে, সেখান থাকা Download অপশনে ক্লিক করে, ভর্তি ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন।
এরপর কলেজে উপরিউক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ফরমটি জমা দিবেন। তারপর কলেজ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আপনাকে নিশ্চায়ন করলে আপনার ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হবে।
মাস্টার্স ভর্তি হতে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে
- অললাইন থেকে মূল আবেদন ফর্মের –২ কপি। (একটি কলজ এবং অপরটি স্টুডেন্ট কপি)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৪টি এবং স্ট্যাম্প সাইজ ৪টি। পেছনে নাম লিখে দিতে হবে (কলেজভেদে কম বেশি হতে পারে)।
- স্নাতক (সম্মান) / মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র বা মার্কশিট।
- স্নাতক (সম্মান) / মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি – ২ কপি।
- দ্বৈত ভর্তির অঙ্গিকারনামা।
- টাকা জমার রশিদ।
- কোটার মূল সনদপত্র (যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটায় আবেদন করেছেন, তাদের জন্য প্রযোজ্য)
- চারিত্রিক সনদপত্র (কোন কোন কলেজে লাগতে পারে) – ২ টি।
উল্লেখ্য, সকল কাগজপত্রগুলোকে ২ সেট বানাতে হবে যার এক সেট বিভাগীয় সেমিনারে এবং অন্য সেট অফিসে জমা দিতে হবে।
→উক্ত সেটের একটির মধ্যে, ভর্তি ফরমের দুই কপি এবং এর কপিতে রঙ্গিন ছবি লাগাতে হবে। তাছাড়া, স্নাতক (সম্মান) বা মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ও মার্কশিটের ফটোকপি দিবেন।
→আর অন্যটিতে আবার ভর্তি ফরমের কলেজ কপি, স্নাতক (সম্মান) বা মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ও মার্কশিটের উভয়ের পত্রের মূল কপি, ৩-৪ টি ছবি দিতে হবে এবং অন্যান্য কাগজপত্র।
মাস্টার্স ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩-২০২৪
Download this Circular
From here
আমি ফাজিল পাস করেছি এখন মাস্টার্স করতে চাচ্ছে। আমি কি কোন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করতে পারব? যদি করতে পারি তাহলে কি তার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স করতে হলে ডিগ্রি পাস করতে হবে। তাছাড়া শুধু ফাজিল পাশ করলে হবে না।
সাত কলেজের শিক্ষার্থী রা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স করতে পারবে কিনা?
na