উত্তরঃ নামাযের ফরয ১৩টি । নিম্নে প্রমাণ সহ দেওয়া হলোঃ
নামাযের বাইরে ৭টি ফরযঃ
- শরীর পাক হওয়া। [সূরা মায়িদা আয়াত : ৬]
- কাপড় পাক হওয়া। [সূরা মুদ্দাছ্ছির, আয়াত : ৪]
- নামাযের জায়গা পাক হওয়া। [সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫]
- ছতর ঢাকা (অর্থাৎ পুরুষগণের নাভি হতে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত এবং মহিলাদের চেহারা, কব্জি পর্যন্ত দুই হাত এবং পায়ের পাতা ব্যতিরেকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)। [সূরা আ‘রাফ, আয়াত : ৩১]
- কিবলামুখী হওয়া। [সূরা বাকারা, আয়াত : ১৪৪]
- ওয়াক্তমত নামায পড়া। [সূরা নিসা আয়াত : ১০৩]
- অন্তরে নির্দিষ্ট নামাযের নিয়ত করা। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১]
নামাযের ভিতরে ৬টি ফরযঃ
- তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ শুরুতে আল্লাহু আকবার বলা। [সূরা মুদ্দাছছির, আয়াত : ৩]
- ফরয ও ওয়াজিব নামায দাঁড়িয়ে পড়া। [সূরা বাকারা,আয়াত ২৩৮]
- ক্বিরা‘আত পড়া (অর্থাৎ কুরআন শরীফ হতে ছোট এক আয়াত পরিমাণ পড়া।) [সূরা মুয্যাম্মিল ,আয়াত : ২০]
- রুকু করা। [সূরা হজ্জ, আয়াত : ৭৭]
- দুই সিজদা করা। [সূরা হজ্জ, আয়াত : ৭৭]
- শেষ বৈঠক (নামাযের শেষে তাশাহহুদ পরিমাণ বসা) [আবু দাউদ, হাদীস নং-৯৭০]
বি.দ্র. নামাযি ব্যক্তির নিজস্ব কোন কাজের মাধ্যমে (যেমন- সালাম ফিরানো) নামায থেকে বের হওয়াও একটা ফরয। (আল বাহরুর রায়িক, ১ : ৫১৩)
আর নামাযের কোন ফরয বাদ পড়লে নামায বাতিল হয়ে যায়। সাহু সিজদা করলেও নামায সহীহ হয় না।
[প্রমাণঃ- আল বাহরুর রায়িক, ১ : ৫০৫ শামী, ১ : ৪৪৭/ হিদায়া, ১ : ৯৮ ]