একাদশ শ্রেণিতে যেভাবে আবেদন করলে ১০০% চান্স হবে

একাদশ শ্রেণিতে ৩ বার আবেদন করার সুযোগ থাকলেও ১ম বারের আবেদন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই একাদশ শ্রেণিতে যেভাবে আবেদন করলে ১০০% চান্স হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানব এখন:-

এখানে আমি কিছু নিয়ম বলব যেগুলো অনুসরণ করলে আশাকরি ১০০% কলেজে চান্স পাবেই!! এছাড়া ভালো ও পছন্দের কলেজে চান্স হওয়া বা না হওয়ার ব্যাপারে কথা বলব। তবে আমি শুধু নিয়ম বলে দিব, আর বাকি কাজ তোমাদের করতে হবে। তাহলে শুরু করা যায় :

একাদশ শ্রেণিতে যেভাবে আবেদন করলে ১০০% চান্স হবে

একাদশ শ্রেণিতে আবেদন করার আগে তোমাকে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। ১) জিপিএ ও মার্ক ২) আসন সংখ্যা ৩) কলেজ। এই ৩ টা বিষয় মাথায় রেখে আবেদন করলে ১০০% চান্স হবে।

যাদের জিপিএ ৫ এবং টোটাল মার্ক ১১৫০+ এর উপরে তারা যেকোন কলেজে আবেদন করতে পারবে। তবে হ্যা, তাদেরকে ১০ টি কলেজে আবেদন করা ভালো। আর যাদের জিপিএ ৫ কিন্তু টোটাল মার্ক ১১৫০ এর নিচে তারা লাস্ট ২-৩ টি কলেজ ৪.৫০ পয়েন্ট ওয়ালা দিয়ে বাকি ৭ টা চয়েজ যেকোন কলেজ দিতে পারবে।

আর যাদের পয়েন্ট ৪.৫০+ তারা ৪.৫০ পয়েন্ট ওয়ালা কলেজ ৫-৬ টিতে আবেদন করতে পারবে। বাকিগুলো ৪.৫০ এর নিচে করবে। এভাবে যাদের ৪ বা ৩.৫০ বা ৩ পয়েন্ট ইত্যাদি আছে তারা তাদের যোগ্যতার সমমান ৪-৫ টি কলেজে আবেদন করবে। আর বাকি গুলোতে তাদের যোগ্যতার চেয়ে কম কলেজে আবেদন করবে।

অর্থাৎ কারও পয়েন্ট ৩.৫০ হলে সে প্রথম ৪-৫ টি চয়েজ, ৩.৫০ পয়েন্ট ওয়ালা কলেজ দিতে পারবে এবং পরের গুলো ৩ পয়েন্ট ওয়ালা কলেজ চয়েজ দিবে।

এবার আসি আসন সংখ্যা নিয়ে সব কলেজে আসন সংখ্যা ঠিক থাকে না। তাই যে কলেজে আসন সংখ্যা কম সে কলেজে প্রতিযোগিতা বেশি হবে। আর সেটা উন্নত কলেজেই হয়ে থাকে। তাই আমার মতে কম আসন সংখ্যা ওয়ালা ভালো কলেজ প্রথমে ৩-৪ টি দিয়ে বাকি গুলো বেশি আসন সংখ্যা ওয়ালা কলেজ চয়েজ দিবেন।

মনেকর, ঢাকার মধ্যে জিপিএ ৫ + ভালো কলেজের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ১০০, ২০০ (এই দুইটা বেশি ভালো), ৩০০, ৪০০ (এই দুইটা মোটামুটি ভালো) এবং ৫০০ (কম ভালো) এ ক্ষেত্রে প্রথম ২ টা চয়েজ উক্ত লিস্টের ১ম দুইটা কলেজ দিবে। পরে দিবে ৪ নং কলেজ, এরপর ৩ নং কলেজ এরপর ৫ নং কলেজ।

এভাবে লিস্টের প্রথম ৪-৫ টি চয়েজ দিবে। অর্থাৎ যে কলেজের মান ভালো কিন্তু আসন সংখ্যা কম সেগুলো আগে দিবে আর বাকি গুলো পরে ক্রমান্বয়ে সাজিয়ে দিবে।

এরপর কলেজ নিয়ে কথা বলি, যদি পয়েন্ট ৫ হয় কিন্তু মার্কস ১১৫০ এর নিচে, তাহলে সরকারি কলেজ ৬-৭ টি দিয়ে বাকি ২-৩ টা কলেজ বেসরকারি দিবে। আর বাকিরা ৪-৫ টি সরকারি কলেজ দিয়ে বাকি গুলো বেসরকারি দিবে।

এবার কথা বলি, কলেজে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে। দেখ, এই বিষয়টা নির্ভর করে আবেদনের সংখ্যার উপর। মনেকর, একটা ভালো কলেজের মোট আসন সংখ্যা ২০০ টি এবং সে কলেজে মিনিমাম ভর্তি যোগ্যতা ৫. এখন যদি ৫০০ জন শিক্ষার্থী ঐ কলেজে আবেদন করে তাহলে ৩০০ জন জিপিএ ৫ পাওয়ার পরও ঐ কলেজে চান্স পাবে না। কারন আবেদনকারী বেশি হওয়ার কারনে প্রতিযোগিতা বেশি হয়ে গেছে এবং ৩০০ জন জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থী বাদ পড়েছে। এভাবে কলেজের চান্স পাওয়ার সম্ভাব্যতা প্রায় ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে।

সিদ্ধান্ত

এখন তোমার পয়েন্ট যদি ভালো হয় অথবা মোটামোটি ভালো থাকে তাহলে যেকোন সরকারি কলেজে আবেদন করতে পারবে। কেননা সর্বোচ্চ ১০ টি কলেজে আবেদন করা যাবে। তবে আমি সাজেস্ট করব ভালো মানের ৫ টি এবং নরমাল ৫ টি কলেজে আবেদন করতে। অবশ্য শেষের ২-৩ টি চয়েজ এমন কলেজে আবেদন করবে যাতে যেকোন একটিতে চান্স হবে আশা রাখতে পার।

তাই তোমাকে আগে নিজের পয়েন্ট ও কলেজের ন্যূনতম যোগ্যতার সাথে মিলিয়ে একটি তালিকা বানাতে হবে। তারপর আবেদন করতে যাবে। এতে ৪-৫ টি কলেজে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও ভালো কলেজ চয়েজ দিতে পারবে।

আরও দেখো

একাদশ শ্রেণিতে সকল কলেজে আবেদন করার যোগ্যতা

একাদশ শ্রেণিতে আবেদন করার নিয়ম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!