একাদশ শ্রেণীর মাইগ্রেশন কি বা অটোমাইগ্রেশন কি? কিভাবে মাইগ্রেশন করতে হয়? কোনটার গুরুত্ব বেশি? মাইগ্রেশন নাকি নতুন করে আবেদন? আমি তানভীর, আজ আমি তোমাদের বুঝিয়ে দিব একাদশ শ্রেণির মাইগ্রেশন সম্বন্ধে বিস্তারিত খুঁটিনাটি তথ্য ইন-শা-আল্লাহ!
অটোমাইগ্রেশন কি ২০২২ : একাদশ শ্রেণির মাইগ্রেশনকে মূলত অটোমাইগ্রেশন বলা হয়। আর একাদশ শ্রেণির মাইগ্রেশন মানে হচ্ছে কলেজ পরিবর্তন করা। যেহেতু মাইগ্রেশন করতে আলাদাভাবে কোনো আবেদন করতে হয় না, তাই এটাকে অটোমাইগ্রেশন বলা হয়।
মাইগ্রেশন কখন ও কিভাবে করবে? : একাদশ শ্রেণির (৩য় মেধাতালিকা ব্যতিত) ১ম ও ২য় মেধা তালিকার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর পছন্দের কলেজ না আসলে মাইগ্রশন করতে পারবে। অর্থাৎ তুমি যদি নতুন করে আবেদন করতে না চাও তাহলে তোমাকে মাইগ্রেশন তথা ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। আর ভর্তি নিশ্চায়ন ফি দিলেই অটো মাইগ্রেশন চালু হয়ে যাবে।
আরও দেখুন : ভর্তি নিশ্চায়ন করার নিয়ম
মাইগ্রেশন করার সুবিধা : তবে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখবে মাইগ্রেশন করলে একটা কলেজ নিশ্চিত ভর্তির জন্য কনফার্ম হয়ে যাবে আর নতুন করে আবেদন করলে রেজাল্ট বের হওয়ার পর চান্স হলে নিশ্চিত হতে হবে। তাছাড়া তুমি তো তোমার পছন্দমত একের পর এক কলেজ চয়েজ দিছো, তাহলে তোমার যেটাতেই আসুক মাইগ্রেশন করে নেওয়া ভালো।
নতুন করে আবেদন করার সুবিধা : যদি কেউ প্রথমে ভালো ভাবে যাচাই বাছাই না করে কলেজ সিলেক্ট করে এবং রেজাল্ট বের হওয়ার পর মনে করে তার জিপিএ কম হওয়ার কারণে মাইগ্রেশন করলেও তার পছন্দের কলেজ আসবে না, তাহলে সে চাইলে নতুন করে তার জিপিএ এর আলোকে ১০ টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। এতে লাভ এটাই যে পছন্দের কলেজ আসার সম্ভাবনা থাকে।
কোনটার গুরুত্ব বেশি? মাইগ্রেশন নাকি নতুন করে আবেদন? : মাইগ্রেশন বা (২য় বা ৩য় পর্যায়ে) নতুন করে আবেদন দুটারই সমান গুরুত্ব রয়েছে। তবে একটা জায়গা ব্যতিত। ঐ একটা বিষয়ের জন্য তুমি নতুন করে আবেদন করতে পার। বিষয়টা একটু জটিল। চলো বিস্তারিত বুঝে নেই :
সমান গুরুত্ব বলতে উভয়কেই (মাইগ্রেশন ও নতুন করে আবেদন) জিপিএ, মোট নম্বর বা (প্রয়োজনে) নির্দিষ্ট কয়েক বিষয়ের নম্বর তুলনা করে ২য় বা ৩য় মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে। তখন যে এগিয়ে থাকবে সে প্রাধান্য (প্রায়োরিটি) পাবে। অর্থাৎ পছন্দের কলেজে চান্স পাবে।
তবে চান্স হওয়ার ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে ভিন্নতা থাকতে পারে। মূলত সেটা কলেজ চয়েস দেয়ার উপর নির্ভর করে। মাইগ্রেশনকারী হোক বা ২য় বা ৩য় পর্যায়ে আবেদনকারী হোক কলেজ চয়েস সঠিকমত না দিলে কোনোটাতেই চান্স পাবে না। আবার দেখা যাবে তুমি মাইগ্রেশনে চান্স পাইছো, অথচ তুমার মত সেইম জিপিএ নিয়ে আরেক স্টুডেন্ট ২য় পর্যায়ে আবেদন করে চান্স পায় নাই। আবার কখনো এর উল্টো হতে পারে। অর্থাৎ তোমার মত সেইম জিপিএ নিয়ে আরেকজন নতুন করে আবেদন করায় তার পছন্দের কলেজে চান্স হইছে কিন্তু তোমার মাইগ্রেশনে কোনো পছন্দের কলেজ আসলো না।
এমন হওয়ার কারণ কি? এটার মূল সমস্যা কলেজ চয়েস লিস্ট। তুমি যদি বেশি প্রতিদ্বন্দিতামূলক ও কম সিট থাকা কলেজ চয়েজ দেও, তাহলে চান্স না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে নতুন করে আবেদন করলেও লাভ হবে না। এটাই হচ্ছে মেইন পয়েন্ট।
এখন কি করবে? মাইগ্রেশন নাকি নতুন করে আবেদন?
এখন যদি দেখো ১ম পর্যায়ে আবেদনের সময় তোমার দেওয়া কলেজ গুলো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং তোমার জিপিএ দিয়ে ঐসব কলেজে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে মাইগ্রেশন না করে নতুন করে কম প্রতিদ্বন্ধিতামূলক কলেজ গুলোতে আবেদন করতে হবে।
আর যদি দেখো চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা মোটামোটি আছে এবং কলেজের সংখ্যাও ৪-৫ টা আছে তাহলে মাইগ্রেশন করে নিবে। উদাহরণ সহ নিম্নে দেখো :
১. ক সরকারি কলেজ (৫.০০) | ৬. চ বেসরকারি কলেজ (৪.০০) |
২. খ সরকারি কলেজ (৫.০০) | ৭. ছ বেসরকারি কলেজ (৩.৫০) |
৩. গ সরকারি কলেজ (৪.৫০) | ৮. জ বেসরকারি কলেজ (৩.০০) |
৪. ঘ সরকারি কলেজ (৪.৫০) | ৯. ঝ বেসরকারি কলেজ (২.৫০) |
৫. ঙ সরকারি কলেজ (৪.০০) | ১০. বেসরকারি কলেজ (২.০০) |
ব্যাখ্যা : মনে করো তোমার উপরোল্লিখিত তালিকার ৬ নম্বর কলেজে চান্স হয়েছে এবং তোমার জিপিএ ৪.০০ বা ৪.৫০ বা মাঝামাঝি। তাহলে তুমি মাইগ্রেশন করতে পারবে। কেননা পয়েন্ট এর দিক দিয়ে তুমি ৫ বা ৪ নং কলেজে চান্স পাওয়ার যোগ্য।
আর যদি তুমি উক্ত তালিকার ৭ নং কলেজে চান্স পাও আর তোমার পয়েন্ট ৩.৫০ হয় তাহলে মাইগ্রেশন করলে লাভ হবে না। এমতাবস্থায় তোমাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। এমন সব কলেজ চয়েজ দিতে হবে যাতে তোমার পছন্দমত হয় আবার চান্সও পাও। তাই প্রত্যেক কলেজের ভর্তি যোগ্যতা দেখে আবেদন করতে হবে।
আরও দেখুন : বিভিন্ন কলেজে আবেদন করার যোগ্যতা
আশাকরি একাদশ শ্রেণীর মাইগ্রেশন ও নতুন করে আবেদন করার সুবিধা ও অসুবিধা বুঝতে পারবে। তারপরও কোনোকিছু না বুঝে থাকলে কমেন্ট করতে পারো অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জিজ্ঞাসা করতে পারো।
হ্যালো স্যার কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন আর ভালো থাকবেন। আমার একটা প্রশ্ন আছে-আমার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মর্নিং এসেছে এটা আমার এক নাম্বার ছিল। কিন্তু আমি এখানে ভর্তি হতে সাহস পাচ্ছিনা। এখন আমি সেকেন্ড পর্যায়ে আবেদন করতে চাই। এখন প্রশ্নটা হল-যারা সেকেন্ড বার আবেদন করবে তারা বেশি গুরুত্ব পাবে নাকি যারা মাইগ্রেশন করেছে তাদের বেশি অগ্রাধিকার প্লিজ একটু জানাবেন 😥😥😥😥😥😥😥😥😥😥😥😥😭
আমার মোট মার্ক ১২২৩।
সবই সমান। যারা দ্বিতীয় বার আবেদন করবে তাদের সাথে মাইগ্রেশন কারীদের এক পাল্লায় মাপা হবে। মানে সবাইকে আবার নতুন করে তার পয়েন্ট ও নাম্বার দিয়ে বিবেচনা করা হবে, তখন যে এগিয়ে থাকবে সে চান্স পাবে।
যারা মাইগ্রেশন করেছে এবং এবং যারা সেকেন্ড পর্যায়ে আবেদন করেছে তাদের মধ্যে যার বেশি মার্ক থাকবে সে কি বেশি সুবিধা পাবে? নাকি যারা মাইগ্রেশন করেছে তারা বেশি সুবিধা পাবে?
সবাই সমান। আর এটা তো শিক্ষার্থী নির্বাচন করার নিয়মই। যদি কোনো দুই শিক্ষার্থীর পয়েন্ট একই হয়, মনে করো উভয়ই জিপিএ ৫ পেয়েছে, তাহলে তাদের মোট নম্বর দিয়ে বিবেচনা করা হবে। এতে যার নাম্বার বেশি হবে সে আগে চান্স পাবে। তারপর সিট খালি থাকলে অন্যরা চান্স পাবে। তবে কোটা ধারী কেউ হলে সে কম জিপিএ বা কম নম্বর পেয়ে চান্স পেয়ে যাবে। এটা ভিন্ন। তবে এদের সাথে তোমাদের ফাইটিং হবে না। কারণ তাদের জন্য ৫% সিট সংরক্ষিত আছেই। তবে এটা এ জন্য বললাম, যদি শুনো তোমার চেয়ে কম নাম্বার বা জিপিএ পেয়ে কারোর চান্স হয়েছে। তাহলে বুঝে নিবে সে কোটাধারী। আশাকরি বুঝাতে পারছি।
প্রথম সিটি কলেজে পেয়েছে। এখন অটো মাইগ্রেশনে শাহীন কলেজে হয়েছে। এখানেই পড়তে চায়। এটা ৩ নম্বর চয়েজ ছিলো। এখন অটো মাইগ্রেশন বন্ধ করার কোন নিয়ম আছে? থাকলে কিভাবে করতে হবে? কবের মধ্যে করতে হবে?
দুঃখিত! মাইগ্রেশন বন্ধ করার কোনো সিস্টেম নাই। এখন ভাগ্যের উপর নির্ভর করতে হবে।
Ami nicaon korse kintu 24 tarik last date silo kintui ami borte hotea pari nai .. Akhon ki amer borti cancel hobea
ঐ কলেজে ভর্তি হতে না চাইলে আর কিছুই করতে হবে না। এমনি নিশ্চায়ন বাতিল হয়ে যাবে।
সবোর্চ্চ কয়টি কলেজে মাইগ্রেশন করা যাবে।
৯ টি। তবে একেক জনের ক্ষেত্রে একেক সংখ্যা হবে। তুমি যদি ৪ নম্বর কলেজে চান্স পাও, তাহলে তুমি ৩ টি কলেজে মাইগ্রেশন করার সুযোগ পাবে। এভাবে যে যত নম্বরে চান্স পাবে, তার চেয়ে এক কমে মাইগ্রেশন করতে পারবে।