প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভর্তির ফলাফল ২০২৩ । মাস্টার্স ১ম পর্ব ভর্তির মেধাতালিকার ফলাফল ২০২৩ : আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স বা মাস্টার্স ১ম পর্ব প্রোগ্রামে ভর্তির বিষয় ভিত্তিক মেধা তালিকার রেজাল্ট সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনি মাস্টার্স ১ম পর্ব মেধাতালিকার ফলাফল জানার নিয়ম সহ ফলাফল পরবর্তী করণীয় সম্বন্ধ্যে জানতে পারবেন। তাছাড়া ফলাফল প্রকাশের আপডেট সাথে সাথে জানিয়ে দেয়া হবে।
মাস্টার্স ১ম পর্ব মেধা | তালিকার ফলাফল |
---|---|
মেধাতালিকার ফল প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০২৩ (বিকাল ৪ টা) |
১ম পর্যায়ে ভর্তির সময় | ১১ হতে ২৭ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত |
ভর্তি ফি প্রদান | ৩০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত |
উল্লেখ্য যে, প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী অন্য কোনো শিক্ষাবর্ষের কোন শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই ২৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করে চুড়ান্ত ভর্তি ফরম উত্তোলন করতে হবে নতুবা তার উভয় ভর্তি বাতিল হবে।
প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভর্তির ফলাফল দেখার নিয়ম
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভর্তির বিষয় ভিত্তিক মেধাতালিকার ফলাফল ১১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ, বিকাল ০৪:০০ ঘটিকার সময় প্রকাশ করা হবে। একইদিন উক্ত ফলাফল SMS -এর মাধ্যমে বিকাল ৪টা থেকে এবং ওয়েবসাইট থেকে রাত ৯ টার পর হতে পাওয়া যাবে। নিম্নে ১ম মেধাতালিকার ফলাফল দেখার পদ্ধতি এবং চূড়ান্ত ভর্তি পদ্ধতি দেখুন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স ভর্তি ফলাফল সাধারণত দুইভাবে দেখা যায়। যথা : অনলাইন ও এসএমএস এর মাধ্যমে। অনলাইনে মেধাতালিকার ফলাফল জানতে নিচের লিংকে গিয়ে রোল নম্বর ও পিন নম্বর টাইপ করে লগিন করুন। আপনি ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলে বা আপনি মেধাতালিকায় স্থান পেলে আপনি আপনার ফলাফল দেখতে পারবেন।
ফলাফল দেখার নিয়ম : লিংকে ক্লিক করার পর রোল নম্বর ও পিন নম্বর দিন। রোল নম্বরটি হচ্ছে প্রাথমিক আবেদন করার সময় ফরমের মধ্যে যে রোল নম্বর লেখা থাকে ঐ রোল নম্বর। আর পিন নম্বর হচ্ছে অনলাইনে আবেদন করার পর সাথে সাথে মোবাইলের মধ্যে আসা মেসেজের মধ্যে তা পেয়ে যাবেন। উল্লেখ্য মেসেজের মাধ্যমে রোল ও পিন নম্বর জানিয়ে দেয়া হয়।
বি. দ্র. রেজাল্ট প্রকাশের দিন সবাই একসাথে চেষ্টা করার কারনে সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। ফলে লিংকে ঢুকতে সময় লাগতে পারে।
ভর্তি রোল ও পিন পুনরুদ্ধার করার নিয়ম
আবেদন করার পর ভর্তি রোল বা পিন হারিয়ে গেলে বা ভুলে গেলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি খুভ সহজে ভর্তি রোল ও পিন রিকোভার (পুনরুদ্ধার) করতে পারবেন। সে জন্য আপনাকে এই লিংকে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আবেদনকারির এইচএসসি রোল, বোর্ড ও পাসের সন, জন্মতারিখ এবং অনার্স সিলেক্ট করে Search বাটনে ক্লিক করলেই আপনার নতুন ভর্তি রোল বা পিন নম্বর এসে যাবে।
SMS এর মাধ্যমে ফলাফল দেখার নিয়ম
এসএমএস এর মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল জানতে আপনার মোবাইলে মেসেজ অপশনে গিয়ে বড় অক্ষরে টাইপ করুন NU স্পেস ATMP স্পেস Roll No এবং তা সেন্ড করুন ১৬২২২ নম্বরে। এখানে NU মানে National University আর ATMP – Admission Test Masters Preliminary এবং Roll no হচ্ছে প্রাথমিক আবেদনের সময় প্রাপ্ত রোল নম্বর।
যেমন : nu<space>atmp<space>roll number
মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর যা করবেন
মাস্টার্স ভর্তির মেধাতালিকায় যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদেরকে অবশ্যই সাথে সাথে অনলাইনে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণ করতে হবে। চূড়ান্ত ভর্তির ফরম পুরণ আপনি আপনার মোবাইলের মাধ্যমেও করতে পারবেন। তারপর ভর্তি ফরম টি ডাউনলোড করে রাখবেন। কেননা পরবর্তীতে শুধু ঐ পিডিএফ ফাইল দিয়েই আপনি আপনার ভর্তি ফরম কম্পিউটার ঘর থেকে প্রিন্ট করে বের করতে পারবেন।
অবশ্য ফরম থাকবে দুইটি : একটি কলেজ কপি ও অন্যটি স্টুডেন্ট কপি। তারপর কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত টাকা পরিশোধের মাধ্যমে ভর্তি ফি প্রদান করে ৩০/০৪/২০২৩ তারিখের মধ্যে কলেজে কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ভর্তি ফি কোন মাধ্যমে প্রদান করবেন তা সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকে নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এভাবে আপনার অনার্স ভর্তি সফলভাবে সম্পূর্ণ হবে।
চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণের নিয়ম, ভর্তি ফি জমা দেওয়ার নিয়ম সহ ভর্তি হতে যেসব কাগজপত্র লাগবে তা একেবারে নিম্নে দেখুন।
পছন্দের সাবজেক্ট না পেলে যা করবেন
অনেকে মেধাতালিকায় চান্স পেলেও পছন্দে্র সাবজেক্ট পায় না, ফলে হতাশ হয়ে যান। থামুন! হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পুরণ করার সময় মাইগ্রেশন অন করে দিবেন। উল্লেখ্য যে, ২য় মেধাতালিকা দিবে না। বরং মাইগ্রেশনের রেজাল্ট কোটার রেজাল্টের সাথে দিবে। মাইগ্রেশন করার নিয়ম চূরান্ত ভর্তির কলামে দেখুন।
মেধাতালিকায় চান্স না পেলে যা করবেন
যদি কেউ মেধাতালিকায় চান্স না পান তাহলে ভয়ের কিছু নেই। কেননা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রিলিজ স্লিপের সুযোগ দিবে। সুতরাং আপনি যদি মেরিট লিস্টে চান্স নাও পান তাহলে শুধু অপেক্ষা করবেন। এ জন্য আপনাকে কোনোকিছু করতে হবে না। রিলিজ স্লিপ সংক্রান্ত তথ্য এখানে দেখুন :
কলেজ পরিবর্তন করতে চাইলে যা করবেন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ভর্তির মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর যদি দেখেন যে কলেজটি আপনার পছন্দমত হয়নি বা কলেজ পরিবর্তন করতে চান, তাহলে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণ না করে একদম রিলিজ স্লিপের জন্য অপেক্ষা করতে হবে অর্থাৎ ভর্তি হওয়া যাবে না।
তবে এ জন্য একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা রয়েছে। সুবিধা হচ্ছে নতুন ভাবে ৩ টি কলেজে আবেদন করতে পারবেন আর অসুবিধা হচ্ছে ভালো কলেজের সিট বা আসন খালি নাও থাকতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে যে, আপনি যদি কোনো সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কলেজ পরিবর্তন করতে চান তাহলে রিলিজ স্লিপের জন্য অপেক্ষা করবেন।
আরও দেখুন
- ডিগ্রি ২য় মেধাতালিকার ফলাফল
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি ভর্তি তথ্য
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স প্রিলি ভর্তির নিয়ম
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ১ম বর্ষের চূড়ান্ত ভর্তির জন্য প্রার্থীকে নিম্নোক্ত লিংকে প্রবেশ করে রােল নম্বর ও পিন সঠিকভাবে এন্ট্রি দিয়ে Login করতে হবে। এরপর Admission Information নামে একটি পেইজ তথা আপনি যে কলেজে নির্বাচিত হয়েছেন তা দেখতে পাবেন এবং একইসাথে Application Form নামে একটি অপশন থাকবে, চূড়ান্তভাবে ভর্তির ফরম পূরণ করার জন্য সেটাতে ক্লিক করতে হবে।
ক্লিক করার পর যে পেজ আসবে তাতে আপনার নাম, পিতার সহ আপনি যে বিষয়ে চান্স পেয়েছেন তা সম্বলিত একটি পেজ আসবে। সেখানে আপনাকে Nationality এর বক্সে Bangladeshi লিখবেন। তারপর নিজ ধর্ম select করবেন। এরপর একজন গার্জিয়ান এর নাম দিবেন। তারপর গার্জিয়ান এর ফোন নম্বর এবং তার বার্ষিক আয় দিবেন।
মাস্টার্স ভর্তির মাইগ্রেশনের নিয়ম : নিচে একটি লেখা থাকবে যে, Do you want to change your assignment subject on based your preference list? অর্থাৎ আপনি যদি ১ম চয়েজ না পান এবং মাইগ্রেশন করতে চান তাহলে Yes এ ক্লিক করবেন নতুবা No তে ক্লিক করবেন। কেউ উপরের লিস্টের সাবজেক্ট না পেতে চাইলে মাইগ্রেশন না করলেও হবে।
শেষ ধাপ : এরপর নিচের দিকে (বাম পাশে) আপনার স্বায়ী এবং (ডান পাশে) বর্তমান ঠিকানা দিবেন। তারপর সবকিছু সঠিক হলে Save Information এ ক্লিক করুন। তারপর যে পেজ আসবে, সেখান থাকা Download অপশনে ক্লিক করে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিবেন। এর মধ্যে একটি থাকবে কলেজ কপি এবং অন্যটি থাকবে স্টুডেন্ট কপি।
মাস্টার্স ভর্তি হতে যেসব কাগজপত্র লাগবে
প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স চূড়ান্ত ভর্তির ফরম প্রিন্ট করে বের করে ফরমটির নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে। অর্থাৎ ফরমের নিচের দিকে থাকা স্টুডেন্ট সিগনেচার এর জায়গায় স্বাক্ষর দিতে হবে। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভর্তি ফি পরিশোধ করে নিম্নোক্ত কগজাদি কলেজে জমা দিতে হবে।
- অললাইন থেকে মূল আবেদন ফর্মের ২ কপি ( অবশ্য A4 অফসেট সাদা কাগজে কালার প্রিন্ট করতে হবে)
- প্রাথমিক আবেদনের প্রবেশপত্র – ২ কপি।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৪টি পেছনে নাম লিখে দিতে হবে (কলেজভেদে কম বেশি হতে পারে)।
- স্নাতক বা ডিগ্রি (পাস) এর সনদপত্র/প্রশংসা পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি – ২ কপি ।
- স্নাতক বা ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র।
- স্নাতক বা ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি – ২ কপি ।
- টাকা জমার রশিদ।
- চারিত্রিক সনদপত্র (সাধারণত লাগেনা, কোন কোন কলেজে লাগতে পারে) – ২ কপি ।
উল্লেখ্য যে সকল কাগজপত্র গুলোকে ২ সেট বানাতে হবে যার এক সেট বিভাগীয় সেমিনারে এবং অন্য সেট অফিসে জমা দিতে হবে। →উক্ত সেটের একটির মধ্যে ভর্তি ফরমের দুই কপি এবং এর কপিতে রঙ্গিন ছবি লাগাতে হবে। তাছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ও মার্কশিটের ফটোকপি দিবেন। →আর অন্যটিতে আবার ভর্তি ফরমের কলেজ কপি, স্নাতক (পাস) পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ও মার্কশিটের উভয়ের পত্রের মূল কপি, ৩-৪ টি ছবি দিতে হবে এবং অন্যান্য কাগজপত্র।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স ভর্তি ফি কত টাকা
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৪৮৫/- টাকা সহ কলেজের বেতন ও সেশন ফি সব মিলিয়ে একটি সরকারি কলেজে আনুমানিক ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মত লাগবে আর বেসরকারি কলেজ হলে ১০ থেকে ১৫ হাজার বা তার বেশি লাগতে পারে। এসব ফি কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। আর ফি প্রদান করতে দেরি করা যাবে রবে ৩০/০৪/২০২৩ তারিখের মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে।
মাস্টার্স ভর্তি ফি যেভাবে জমা দিবেন
যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমন কোনো পদ্ধতি রাখেনি সেহেতু প্রত্যেক কলেজের আবেদন ফি দেওয়ার পদ্ধতি বা মাধ্যম ভিন্ন। তাই কোনো কলেজ বিকাশে, কোনো কলেজ রকেট বা শিওর ক্যাশে টাকা জমা ডিগ্রি ভর্তি ফি দিতে হয়। তবে কোন কলেজ কিসের মাধ্যমে, কোন নাম্বারে ফি জমা নিবে তা সংশ্লিষ্ট কলেজের নোটিশ বোর্ড থেকে জানতে হবে, যার ফলে আপনি চাইলে নিজে নিজেও ভর্তি ফি পরিশোধ করতে পারবেন। নিম্নে জনপ্রিয় মাধ্যমে বিকাশে টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম দেয়া হলো :
বিকাশের মাধ্যমে টাকা ভর্তি ফি দেয়ার নিয়ম
১ম ধাপ : বিকাশ এপ অপেন করে পে বিল অপশনে ক্লিক করুন। তারপর প্রাপক অপশন থেকে আপনার কলেজের নাম অথবা বিলার আইডি (biller id) নম্বর দিন (এখানে নাম নাকি নম্বর দিতে হবে তা সংশ্লিষ্ট কলজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানতে পারবেন) এবং বিলার আইডি আসলে সেলেক্ট করুন।
২য় ধাপ : এবার student id এর জায়গায় আবেদন ফরমে থাকা বা মোবাইলে আসা ভর্তি রোল (Admission Roll) টা দিন। বি.দ্র. ম্যানুয়ালি মাস যা আসবে তাই থাকবে চেঞ্জ করার দরকার নেই। এবার next ধাপে যান।
৩য় ধাপ : এবার আপনাকে কত টাকা পে করতে হবে তা সংক্রান্ত একটা মেনু আসবে। এখানে কিছুই করতে হবে না। এবার next ধাপে যান।
৪র্থ ধাপ : এবার আপনাকে আপনার বিকাশের পিন নম্বর দিতে হবে। পিন দেওয়ার পর next এ যান এবং ট্যাপ করে চেপে ধরুন। নেট সংযোগ ভালো থাকলে সাথে সাথে পেমেন্ট হয়ে যাবে।
আমি আবেদন করতে পারিনি। আর কি কোনো সুযোগ দেয়া হবে?
দুঃখিত! আপনার কপাল খারাপ। এবার আর পারবেন না