বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে পলিটেকনিক ভর্তি ২০২৩ শুরু হয়েছে। উক্ত ভর্তি কার্যক্রমে ০৪ বছর এবং ০২ বছর মেয়াদি সকল সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সমূহে ১ম ও ২য় শিফটে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ভর্তি চলছে। নিম্নে বিস্তারিত দেখুন :
সর্বশেষ আপডেট : পলিটেকনিক ভর্তির ২য় পর্যায়ের রেজাল্ট প্রকাশ আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পলিটেকনিক ভর্তি ২০২৩-২০২৪
যারা ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে আবেদন করে ইতিমধ্যে ১ম পর্যায়ে নিশ্চায়ন করেছেন এবং যারা ২য় পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়ে নিশ্চায়ন করবেন তাদেরকে ০২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের মধ্যে নিজ নিজ কলেজে ভর্তি হতে হবে। নতুবা ৩য় পর্যায়ের জন্য অপেক্ষা করলে চান্স নাও পেতে পারেন। কারণ আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ৩য় পর্যায়ের আবেদন নেয়া হবে। শুধু তাই নয়, তখন ভালো ভালো কলেজের সিট খালি নাও থাকতে পারে।
পলিটেকনিক | ভর্তির সময় ২০২৩ |
---|---|
২য় পর্যায়ে আবেদন | ১৩ হতে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত |
২য় পর্যায়ের ফল | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |
২য় পর্যায়ে নিশ্চায়ন | ০৭ হতে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত |
চূড়ান্ত ভর্তির সময় | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ হতে ০২ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত |
৩য় পর্যায়ে আবেদন | ০৮ হতে ১০ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত |
২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ০৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা-ইন-টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার, ডিপ্লোমা-ইন-ফরেস্টি, ডিপ্লোমা-ইন-ফিশারিজ, ডিপ্লোমা-ইন-লাইভস্টক এবং ০২ বছর মেয়াদী এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি), এই.চএস.সি ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স ও সার্টিফিকেট-ইন-মেরিন ট্রেড কোর্সে ভর্তি নেয়া হচ্ছে।
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হোন : Polytechnic Helpline
পলিটেকনিকে ভর্তি হবেন যেভাবে
যারা সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে চান তাদেরকে প্রথমে অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন করতে হবে। আবেদন করার নিয়ম নিম্নে দেয়া আছে। তারপর ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে তাদের ১ম মেধাতালিকার ফল বের হবে। ফল পাওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখের আগে অবশ্যই ভর্তি নিশ্চায়ন করে নিতে হবে। ভর্তি নিশ্চায়ন করার নিয়ম এখান থেকে জানতে পারবে।
আর নিশ্চায়ন করার সাথে সাথেই অটোমাইগ্রেশন চালু হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে তুমি যে কলেজে চান্স পেয়েছ সেই কলেজের উপরের কলেজে মাইগ্রেশন হবে। এভাবে ২ বার মাইগ্রেশন এর ফল দিবে। সবশেষে তুমি যে কলেজে চান্স পাবে সেই কলেজে ভর্তি হতে হবে। তবে তুমি চাইলে অটো মাইগ্রেশন অফ করতে পারবে। আর মাইগ্রেশন হলে নতুন করে নিশ্চায়ন করতে হবে না।
আর যাদের ১ম পর্যায়ে কোনো রেজাল্ট আসবে না অর্থাৎ যারা ওয়েটিং এ থাকবে, তারা নতুন করে আবেদন বা মাইগ্রেশন করতে পারবে না। তবে তারা চাইলে তাদের চয়েজ লিস্ট পরিবর্তন করতে পারবে। আগামী ১১ জানুয়ারি ২য় পর্যায়ের ফল প্রকাশিত হবে। সবশেষে কোনো পর্যায়ে রেজাল্ট না আসলে বেসরকারিতে আবেদন করা যাবে।
এভাবে সবশেষে তুমি যে কলেজে চান্স পাবে সেই কলেজে সরাসরি গিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ হতে ০২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ভর্তি হতে হবে।
আর যারা বেসরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে চাও তাদেরকে যেমন মেধাতালিকা প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না ঠিক তেমনিভাবে তাদের জন্য নেই কোনো মাইগ্রেশন। তবে তাদেরকে অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন এবং ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। ভর্তি নিশ্চায়ন করার পর ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কলেজে গিয়ে কাগজপত্র দিয়ে ভর্তি হতে হবে। নতুবা নিশ্চায়ন বাতিল হয়ে যাবে। আবেদন করার নিয়ম নিম্নে দেওয়া আছে।
এ ক্ষেত্রে ২ বছর মেয়াদী এইচএসসি (ভোকেশনাল / বিএমটি) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্সে ভর্তির সময়সীমা ০৮ আগস্ট ২০২৩ হতে ০৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
পলিটেকনিক ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩
পলিটেকনিক বা কারিগরি তে দুইভাবে ভর্তি হওয়া যায়। এক সরকারি দুই বেসরকারি। তন্মধ্যে সরকারিতে ১০ টি কোর্স ও বেসরকারিতে ৫ টি কোর্স রয়েছে। এখানে সরকারিতে থাকা ১০ টি কোর্সের ৫ টি রয়েছে। আবার কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর ও ২ বছরের রয়েছে। তাই ভর্তির ক্ষেত্রে কোর্স ভিত্তিক শিক্ষাগত যোগ্যতারও তারতম্য রয়েছে। নিম্নে পৃথক পৃথকভাবে উভয় ধরণের যোগ্যতার বিবরণ দেয়া হলো :
সরকারি পলিটেকনিক ভর্তির যোগ্যতা
ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে : যে কোন শিক্ষা বোর্ড থেকে এস.এস.সি / দাখিল / এস.এস.সি (ভোকেশনাল) / দাখিল (ভোকেশনাল) / সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ছাত্রদের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে জিপি ৩.০০ সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ এবং ছাত্রীদের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে জিপি ৩.০০ সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ প্রাপ্ত যে কোন সালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
অথবা ও লেভেলে যেকোন একটি বিষয়ে ‘সি’ গ্রেড এবং গণিতসহ অন্য যেকোন দুটি বিষয়ে ন্যূনতম ‘ডি’ গ্রেড পেয়ে যে কোন সালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। জিপিএ পদ্ধতি চালুর পূর্বে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ প্রাপ্ত যে কোন সালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
আগে আসলে আগে ভর্তি ২০২৩ বিস্তারিত দেখুন
ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার, ফরেস্ট্রি, লাইভস্টক ও ফিসারিজ ক্ষেত্রে : যে কোন শিক্ষা বোর্ড থেকে এস.এস.সি / দাখিল / এস.এস.সি (ভােকেশনাল) / দাখিল (ভােকেশনাল) / সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
অথবা ‘ও’ লেভেলে যে কোন একটি বিষয়ে ‘সি’ গ্রেড ও অন্য যেকোন দুটি বিষয়ে ন্যূনতম ‘ডি’ গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ যে কোন বয়সের শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
আর জিপিএ পদ্ধতি চালুর পূর্বে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভগে উত্তীর্ণ যে কোন বয়সের শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। তবে ডিপ্লোমা-ইন-লাইভস্টক শিক্ষাক্রমের ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান বিষয়ে জিপি ৩.০০ সহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সম্প্রতি পাসকৃতদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে এবং মােট জিপিএ এর ভিত্তিতে মেধা তালিকা করা হবে। এক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত জিপি বিবেচনা করা হবে।
বেসরকারি পলিটেকনিক ভর্তি যোগ্যতা
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে : যে কোন শিক্ষা বোর্ড থেকে এস.এস.সি / দাখিল / এস.এস.সি (ভােকেশনাল) / দাখিল (ভােকেশনাল) / সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অথবা ‘ও’ লেভেল উত্তীর্ণ যে কোন বয়সের শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। জিপিএ পদ্ধতি চালুর পূর্বে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগে যে কোন সালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার, ফিসারিজ এর ক্ষেত্রে : যে কোন শিক্ষা বোর্ড থেকে এস.এস.সি / দাখিল /এস.এস.সি (ভােকেশনাল) / দাখিল (ভােকেশনাল) / সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.০০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অথবা ‘ও’ লেভেল উত্তীর্ণ যে কোন বয়সের শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। জিপিএ পদ্ধতি চালুর পূর্বে এস.এস.সি বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগে যে কোন সালে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে।
পলিটেকনিক ভর্তি আবেদন ২০২৩
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড আওতাধীন কোনো কোর্সে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে আবেদন করার ১ ঘন্টা পূর্বে টেলিটক/বিকাশ/রকেট/শিওরক্যাশ -এর মাধ্যমে ১ম শিফট বা ২য় শিফট অথবা উভয় শিফটে ভর্তির জন্য আবেদন ফি বাবত ১৫০ অথবা ৩০০ টাকা প্রদান/জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
পলিটেকনিকে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করার পূর্বে আবেদন ফি আলাদাভাবে প্রদান করতে হয়। আর এই আবেদন ফি শুধুমাত্র ৫টি মাধ্যমে জমা দেওয়া যায়। যথা: বিকাশ, রকেট, নগদ, ট্যাপ এবং উপায় এর মধ্যমে। নিম্নে জনপ্রিয় মাধ্যম বিকাশের মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দেওয়ার পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:-
বিকাশে আবেদন ফি জমা দেয়ার নিয়ম
ধাপ -১ : বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে “আরও দেখুন” অপশনে টাচ করুন। এবার “এডুকেশন ফি” সেলেক্ট করুন।
ধাপ ২ : এখন BTEB লিখে সার্চ করুন। সাথে সাথে কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের নাম আসবে সেখানে থাকা BTEB (অন্যান্য) অপশনটি দেলেক্ট করুন।
ধাপ ৩ : এবার পেমেন্ট কোড কোড, এসএসসি পাসের সন, বোর্ড কোড, এসএসসি রোল দিন। অর্থাৎ যে কোর্সে আবেদন করবে সেই কোর্সের কোড দিবেন। বোর্ড ও পেমেন্ট কোড নিম্নে দেওয়া আছে।
ধাপ ৪ : সবকিছু ঠিক থাকলে আবেদন ফি এর পরিমান (১৬০ টাকা) আসবে। তবে উভয় শিফটের জন্য ৩০০ / – টাকা আসবে। এবার পরের ধাপে গিয়ে পিন নম্বর দিন।
ধাপ ৫ : এবার টিপ দিয়ে চেপে ধরুন। Payment সফল হলে Successful SMS প্রদর্শিত হবে। পরবর্তি ব্যবহারের জন্য আপনার Payment Receipt ডাউনলােড করে রাখুন।
পেমেন্ট কোড
Diploma in Engineering (Govt. 1st Shift) – GDE1
Diploma in Engineering (Govt. 2nd Shift) – GDE2
Diploma in Engineering (Govt. Both Shift) – GDE3
Diploma in Marine and Shipbuilding (Govt.) – GMSA
Diploma in Engineering (Private) – PENA
Diploma in Textile (Govt.) – GTXA
Diploma in Textile (Private) – PTXA
Diploma in Agriculture (Govt.) – GAGA
Diploma in Agriculture (Private) – PAGA
বোর্ড কোর্ড : আবেদনকারী যে শিক্ষা বাের্ড থেকে এস.এস.সি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, ঐ বাের্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর (যেমন : ঢাকা বাের্ডের বেলায় (DHA), সিলেট (SYL), বরিশাল (BAR), চট্টগ্রাম (CHA), কুমিল্লা (CUM), দিনাজপুর (DIN), যশাের (JAS), রাজশাহী (RAJ), মাদ্রাসা (MAD), কারিগরি (TEC), ময়মনসিংহ (MYM), উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (BOU), অন্যান্য (OTH) এবং ১ম শিফট হলে (A), ২য় শিফট হলে (B) এবং উভয় শিফট হলে (C) হবে।
অনলাইনে ভর্তি আবেদন নিয়ম ২০২৩
আবেদন ফি দেওয়ার পর যে কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য প্রথমে btebadmission.gov.bd ওয়েবসাইটের Home page হতে ভর্তি কোর্স সিলেক্ট করুন। তারপর যে পেজ আসবে সেখানে থাকা “Apply Now” বাটনে ক্লিক করে Application form Open করতে হবে।
এরপর যে পেজ আসবে তাতে এসএসসি রোল, বোর্ড নাম ও পাশের সন লিখে এন্ট্রি দিতে হবে। ২য় ধাপে টেলিটক / রকেট / শিওরক্যাশ / বিকাশ এর SMS এর মাধ্যমে পাওয়া Transaction Code পূরণ করতে হবে। Transaction Code সঠিক হলে পরের ধাপে যেতে পারবে।
৩য় ধাপে আবেদনকারীর তথ্য প্রদর্শিত হবে এবং এখানে আবেদনকারীর ছবি (পরিষ্কার পাসপাের্ট সাইজের রঙিন ছবি JPEG Format -এ, এবং অনধিক ১০০ KB) আপলােড করতে হবে। এছাড়াও আবেদনকারীর কোন কোটা থাকলে হলে সেই সংক্রান্ত document আপলােড করতে হবে।
৪র্থ ধাপে সকল প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের টেকনােলজি ও শিট প্রদর্শিত হবে এবং সেখান থেকে প্রতি শিফট এ অনধিক ১৫ টি করে প্রতিষ্ঠান-টেকনােলজি পছন্দ করতে পারবে। উভয় শিটের জন্য ৩০ টি করে প্রতিষ্ঠান-টেকনােলজি পছন্দ করতে পারবে।
৫ম ধাপে প্রতিষ্ঠান-টেকনােলজি পছন্দ শেষ হলে পছন্দকৃত সকল শিফ্ট – প্রতিষ্ঠান – টেকনােলজি প্রদর্শিত হবে এবং এখানে আবেদনকারী তার পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবে।
৬ষ্ট ধাপে আবেদনকারীকে তার সকল তথ্য, ছবি, পছন্দকৃত প্রতিষ্ঠান – টেকনােলজি এবং পছন্দক্রম প্রদর্শন করা হবে, এবং আবেদন সম্পন্ন করার সর্বশেষ অনুমতি চাওয়া হবে।
৭ম ধাপে আবেদন সম্পন্ন হলে আবেদনকারীর মােবাইলে SMS এর মাধ্যমে আবেদনের Application ID এবং Pin Number পাঠানাে হবে। এই Application ID এবং Pin Number দিয়ে পরবর্তীতে আবেদনকারী তার আবেদনের তথ্যসমূহ সংশােধন করতে পারবে।
Application ID এবং Pin Number গােপনীয়ভাবে লিখে রাখার জন্য অনুরােধ করা হলাে। Pin Number হারিয়ে গেলে btebadmission.gov.bd লিংকে গিয়ে চাহিত তথ্য পুরনের মাধ্যমে Pin Number পুনরুদ্ধার করা যাবে।
পলিটেকনিক ভর্তি ফলাফল
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড এর আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক / সমমান প্রতিষ্ঠান সমূহে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিয়ারিং কোর্স ভর্তির ১ম মেধাতালিকার ফলাফল ০১ জানুয়ারি ২০২৩ রাত ১০:০০ টায় প্রকাশিত হয়েছে। পলিটেকনিক ভর্তির রেজাল্ট জনার নিয়ম দেখুন :
পলিটেকনিক ভর্তি রেজাল্ট ২০২৩ এখানে দেখুন
পলিটেকনিক ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৩
মেধাতালিকা প্রণয়ন
এসএসসি সমমান পরীক্ষায় পাসের রেজাল্ট, পছন্দের ক্রম, কোটা ও অন্যান্য প্রযোজ্য শর্তের ভিত্তিতে প্রার্থীর মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
- মোট আসন সংখ্যা অনুযায়ী মেধা, পছন্দের ক্রম ও কোটা ভিত্তিক তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি একটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
- মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তিকৃত প্রার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে প্রতিষ্ঠান-টেকনোলজি ভিত্তিক মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবে।
- মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তির সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান/টেকনোলজি ভিত্তিক শূন্য আসনে অপেক্ষমান তালিকা হতে মেধা, পছন্দের ক্রম ও কোটার ক্রমানুসারে ভর্তি করা হবে।
আপেক্ষমান তালিকা প্রণয়ন
- মোট আসন সংখ্যা অনুযায়ী মেধা, পছন্দের ক্রম ও কোটা ভিত্তিক তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি একটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
- মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তিকৃত প্রার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে প্রতিষ্ঠান-টেকনোলজি ভিত্তিক মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবে।
- মেধা তালিকা অনুযায়ী ভর্তির সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান/টেকনোলজি ভিত্তিক শূন্য আসনে অপেক্ষমান তালিকা হতে মেধা, পছন্দের ক্রম ও কোটার ক্রমানুসারে ভর্তি করা হবে।
শূন্য আসন পূরণ
- ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে কেউ ক্লাস শুরুর ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে তার ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। উক্ত শূণ্য আসনে পরবর্তী ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচিত ও ভর্তিচ্ছুকদের তালিকা হতে মেধার ক্রমানুসারে পূরণ করা হবে।
- ভর্তির ক্ষেত্রে ২০% ড্রপ-আউট বিবেচনায় টেকনোলজি ভিত্তিক প্রতি গ্রুপে আসন সংখ্যা ৫০(পঞ্চাশ) নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোটা
মহিলা-২০%, এসএসসি (ভোকেশনাল)-১৫%, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আবেদনকারীদের –ঢাকা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রতিটিতে ৪টি করে ও অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২টি করে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের প্রতি টেকনোলজিতে প্রতি গ্রুপে ২টি করে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী কোটা ৫% এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অধীন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর সন্তানদের জন্য ২% আসনে মেধা ও আবেদন ফরমে বর্ণিত পছন্দের ভিত্তিতে কোটা সংরক্ষণ করে ভর্তি করা হবে।
এসএসসি সহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ০২ (দুই) বছর মেয়াদী ট্রেড কোর্স পাস প্রার্থীদের ট্রেড কোর্সে প্রাপ্ত নম্বরের ও এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা নির্ধারণ করা হবে এবং তাদেরকে ৫% সংরক্ষিত আসনে ভর্তি করা হবে।
সরকার নির্ধারিত কোটার আবেদনের প্রমাণপত্র
(ক) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আবেদনকারীদের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র
(খ) মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র
(গ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এর অধীন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও অধিদপ্তরাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দপ্তর/প্রতিষ্ঠান প্রধানের সনদপত্র
(ঘ) বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সনদপত্র এবং
(ঙ) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ০২ (দুই) বছর মেয়াদী ট্রেড কোর্সধারীদের সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, আবেদনকারীর Application ID সম্বলিত প্রিন্ট আউটসহ আবেদনপত্র নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ডাকযোগে/সরাসরি অফিস চলাকালীন সময়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পিছনের বিল্ডিংয়ের ২০১ নং কক্ষে সরাসরি অথবা ডাকযোগে পৈাঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় তার কোটা বিবেচিত হেব না। ট্রেড কোর্সধারী শিক্ষার্থীদের ট্রেড সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তি করা হবে।
অন-লাইনে আবেদনের পর সরকার নির্ধারিত কোটা সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে উল্লেখিত সংশ্লিষ্ট সকল প্রমাণপত্রসমূহ (Application ID সম্বলিত আবেদনের প্রিন্ট কপিসহ) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবেদন ফরম পাওয়া না গেলে প্রযোজ্য কোটা বিবেচ্য হবে না। তাছাড়া সরকার নির্ধারিত কোটার উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে পর্যায়ক্রমে মেধা তালিকা/অপেক্ষমান তালিকা হতে কোটাভিত্তিক শূন্য আসন পূরণ করা হবে।
মনে করেন আমি পলিটেকনিকাল কলেজে ঠিকছি। তো এখন আমার ছাড়পত্র নিয়ে যেতে হবে। এটা ছাড়া ভর্তি হাওয়া যাবে না। কেননা অনেক স্কুল বা মাদ্রাসা থেকে ছাড়পত্র দিতে ছাইনা তাই।
ছাড়পত্র নিবেন মানে? আপনি আমাদের ফেসবুক গ্রুপে প্রশ্ন করেন। লিংক : HSC Helpline
না! আমি বলতেছি যে ছাড়পত্র লাগবে এটা কী জরুরী। এটা ছাড়া ভর্তি হাওয়া যাবে না?
Ami new diploma te bhorti hote cai ki korte hobe hsc 21
আজকের মধ্যে আবেদন করুন। নতুবা ৩য় পর্যায়ে আবেদন করতে হবে।
সিকিউরিটি কোড ফিরে পাওয়ার ব্যাবস্থা কি?
হ্যা আছে, ক্লিক হেয়ার
পলিটেকনিকের সিকিউরিটি কোড পুন:রুদ্ধার করব কিভাবে প্লিজ বলবেন কী?
http://bteb1.btebadmission.gov.bd:8080/BTEB_WEB/pinretrival.action
আসসালামু আলাইকুম আমার এসএসসি ২০১৮ আমি কি টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং এ আবেদন করতে পারবো? আবেদনের শেষ সময় কবে?
আমি বর্তমানে অনার্স করতেছি, এখন যদি ভর্তি হতে পারি তাহলে এসএসসির প্রশংসা পত্র দিয়ে কি ভর্তি হতে হবে? যদি হয় তবে ফটোকপি দিয়ে ভর্তি হওয়া যাবে?