সাদা স্রাব বের হলে নামাজ যেভাবে পড়বেন

লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাব হচ্ছে সমস্ত মহিলাদের একটি সর্বজনীন সমস্যা। অধিকাংশ স্রাব জীবন শৈলী ও শারীর বৃত্তীয় সংক্রান্ত, যার কোন চিকিত্‍সা প্রয়োজন হয় না। তবে এটা প্রচুর পরিমানে বা রক্তে দাগ, দুর্গন্ধ যুক্ত এবং স্বাভাবিক রংয়ের না হলে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।

সাদা স্রাব কি?

সাদা স্রাব হলো হলুদ, সাদা পিচ্ছিল ও আঠালো রঙ্গের নিঃসরণ, যা শুকালে হালকা বাদামি-হলুদ রঙ্গের বর্ণ ধারণ করে। সাধারণত, স্বাভাবিক স্রাব পাতলা এবং সামান্য চটচটে হয়। আর এটা অনেকটা নাসিকা স্রাব এর মত হয়। অথবা সাদা স্রাব হচ্ছে ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হওয়ার পরে মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে যে স্রাব নির্গত হয়।

আরও দেখুন

সাদা স্রাব বের হলে নামায পড়ার বিধান

ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হওয়ার পরে মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে নির্গত সাদাস্রাব নাপাক নয়। এটি ইমাম আবু হানিফা রহ. সহ অধিকাংশ আলেমদের অভিমত। আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন এই অভিমত গ্রহণ করেছেন। (রেফারেন্স : শারহুল মুমতে ১/৪৫৮ পৃ.) (After purifying from menstruation, the whitedischarge emitted from the uterus of the woman is not Napak. It is the opinion of most islamic scholars including Imam Abu Hanifa (R). Allama Muhammad Bin Saleh Al-usaimin have accepted this opinion. ( Reference : Sharhul Mumte 1/458)

সুতরাং তা কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না। ফলে নামাজের পূর্বে কাপড় পাল্টানোরও প্রয়োজন নাই। তবে যথাসম্ভব, কাপড়ে না লাগানোর চেষ্টা করা উত্তম. তাই প্যাড, আন্ডারওয়্যার অথবা কোন কাপড়ের টুকরো লজ্জাস্থানে দিয়ে নামায পড়া ভালো. (Therefore, for this cloth will not be napak. So, there is no need to change cloth. However, as much as possible, it is better to try not to have the discharge on the cloth. So it is better to pray (salat) with a pad, underwear or a piece of cloth in the vagina.)

তবে মনে রাখতে হবে যে, সাদা স্রাব বের হলে ওযু নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং সালাতের পূর্বে পূর্বে লজ্জাস্থান ধৌত করার পর, অজু করে সালাত আদায় করবে।   (However, it should be kept in mind that if white discharge comes out, the wudu (ozu) will be ruined. So after washing the place of shame before the prayer (salat), perform the prayer by performing wudu.)

▬▬▬◄❖►▬▬▬   উত্তর প্রদান করেছেন: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল (লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।

আরও পড়ুন

10 thoughts on “সাদা স্রাব বের হলে নামাজ যেভাবে পড়বেন”

  1. কারও যদি এমন হয় যে নামাজ পড়ার সময় বের হলো তখন কি করণীয়? তখন কি নামাজ ছেড়ে দিয়ে ওযু করে নামাজ আদায় করতে হবে? যেহেতু আপনারা বলছেন ওযু নষ্ট হয়ে যাবে।

    1. Shohel Rana

      আসসালামু আলাইকুম। আমি মিজানুর রহমান আজহারীর একটা ইসলামিক আলোচনায় শুনেছিলাম। যাদের ঘনঘন প্রশ্রাব হয়, প্রশ্রাব করার পরও বের হয়ে থাকে। নামাজ পড়তে গেলে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগতে হয়। তাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনি প্রশ্রাব করার পর স্বাভাবিকভাবেই ঢিলা বা টিস্যু ইউজ করে এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রশ্রাব শেষ করে নামাজের নিয়তে অজু করে নিন। এরপর নামাজে দাঁড়িয়ে যান। যদি নামাজে দাঁড়ানোর পরও আপনি মনে করেন আপনার প্রশ্রাব নির্গত হচ্ছে, তবে করার কিছুই নেই আপনি আপনার মত নামাজ শেষ করে উঠুন। এতে নামাজ ছেড়ে দেওয়ার দরকার নাই।

      1. ওয়ালাইকুমুস সালাম। আপনি এখানে প্রশ্রাবের কথা বলেছেন সাদাস্রাবের কথা বলেননি। তাই মাসয়ালা ভিন্ন।

    2. জাহাঙ্গীর আলম

      সাদা স্রাব কি প্রতিনিয়তি হয়েই থাকবে? একেবারে কমানোর জন্য করনীয় কি? আর একেবারে কমে গেলে কি কোনো ক্ষতি হবে?
      নামাজের সময় হলে বার বার ধৌত করতে হবে, টিস্যু বা প্যাড দিতে হবে এগুলাতে অনেকেই বিরক্ত মনে করে নামাজ ছেড়ে দেয়, তাহলে খুব গুরুত্বের সাথে সমাধান করে দিলে ভালো হয়।

      1. Farjana Nasrin

        এটি একটি স্বাভাবিক প্রকৃয়া। এটি একেবারে কমে না।সাধারণত ঋতুস্রাবের আগেও পরে এটা হয়ে থাকে এবং দু এক দিনই কমে যায়। কিন্তু যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় এবং অন্য কোন সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসক এর সাথে পরামর্শ করতে হবে। আর সাদাস্রাবে অজু নষ্ট হবে না। তাই নামাজ ছাড়ার দরকার নাই।

        1. না, অজু ভঙ্গ হবে। প্রস্রাব বা পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনোকিছু বের হলেই অজু ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা এটা অজু ভঙ্গের অন্যতম কারণ। তাই নামাজরত অবস্থায় সাদা স্রাব বের হলে নামাজ হবে না।

  2. হ্যা, আর এ জন্যই নামাযের আগে লজ্জাস্থানে কাপড়ের টুকরো বা টিস্যু দিয়ে অথবা প্যাড পরে নামায পড়তে হবে, যাতে স্রাব বের না হয়। এটাই উত্তম।

  3. আমার নামাজের সময় সাদা স্রাব বের হয়েছে আমি বুঝতে পারিনি আমার নামাজ কি হবে না।

  4. দুঃখিত! নামায হবে না। নামায আবার আদায় করতে হবে। কারন অযু ভঙ্গ হয়ে গেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!