অনার্স ভর্তির আবেদন নিয়ম ২০২৪ | জাতীয় বিশ্বিবদ্যালয়ে অনার্স ভর্তির আবেদন নিয়ম : সুপ্রিয় অনার্স ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা! আপনারা এই পোষ্ট থেকে খুভ সহজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ভর্তির প্রাথমিক আবেদন নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাছাড়া আবেদন করার পর করণীয় কি এবং কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে তাও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪ সালের অনার্স ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের সময় বর্ধিত করা হয়েছে। বর্ধিত সময়ানুযায়ী ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ বিকাল ৪ টা হতে শুরু হবে এবং চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত।
জাতীয় বিশ্বিবদ্যালয়ে অনার্স ভর্তির আবেদন নিয়ম
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে অনার্স ভর্তির প্রাথমিক আবেদন মোবাইলের মাধ্যমেও করা যাবে। তবে একটা সমস্যা হবে তা হছে ছবি। আশাকরি সে ব্যাপারেও সহজ সমাধান দিব। অর্থাৎ যেভাবে মোবাইলের মাধ্যমে ১৫০ বাই ১২০ পিক্সেলের ছবি তৈরি করবেন সে ব্যাপারে বলবো। তবে আবেদন করার আগে অবশ্যই যে তথ্যগুলো লাগবে সেগুলো কাছে রাখতে হবে। তাহলে এখন জেনে নেই আবেদন করতে কি কি লাগবে?
প্রাথমিক আবেদন করতে যেসব জিনিস লাগবে
- SSC বা সমমান (দাখিল, ভোকেশনাল) পরীক্ষার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর
- HSC বা সমমান (আলিম, ভোকেশনাল) পরীক্ষার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর
- এক কপি রঙ্গিন ছবি (১৫০ বাই ১২০ পিক্সেল, সাইয ৫০ kb)
- একটি ইমেইল এড্রেস ও একটি মোবাইল নম্বর
আবেদন শুরু | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ হতে | |
আবেদন চলবে | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত | |
আবেদন লিংক | Apply now | |
আবেদন করার নিয়ম | এখানে দেখুন | |
১ম মেধাতালিকার ফল প্রকাশ | — ফেব্রুয়ারি ২০২৪ |
অনার্স ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে
অনার্সে আবেদন করার আগে কিছু কথা জেনে রাখা ভালো, আপনার পয়েন্ট যদি এসএসি ও এইচএসসি উভয় মিলিয়ে (৪র্থ বিষয় সহ) কমপক্ষে ৮.৫০ না হয়, তাহলে আপনার জন্য কোনো শহর বা সিটি কলেজে আবেদন না করাই ভালো। কেননা শহরের কলেজ গুলোর মান ভালো।
আরেকটা বিষয় পয়েন্ট কম হওয়া সত্তেও যদি সিটি কলেজে আবেদন করতে চান তাহলে যে কলেজে সিট বেশি আছে এবং সদরের বাহিরে অবস্থিত এমন কলেজে আবেদন করবেন।
আর আপনি যদি ভাবেন একবার এপ্লাই করে দেখি, তাহলে এটা করা যাবে এই শর্তে যে, যদি আপনি একান্ত ভালো কলেজে পড়তে চান তবে। কেননা পরে চান্স না হলে রিলিজ স্লিপের প্যারায় পড়তে হবে, তখন যেখানেই যে সাবজেক্টে চান্স হবে সেখানেই সে সাব্জেক্টে ভর্তি হতে হবে।
তাই এমন কলেজে আবেদন করুন যেটাতে আপনার চান্স হওয়ার সম্ভাবনা কমপক্ষে ৭০% থাকে। নিম্নের লিংকে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ আবেদন করার আগে অবশ্যই যা জানতে হবে
যাইহোক এখন আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ভর্তির প্রাথমিক আবেদন নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিত দেখবো। চলুন শুরু করি!
আরও পড়ুনঃ কোন কোন কলেজে কত পয়েন্ট হলে আবেদন করতে পারবেন
প্রথম ধাপ : অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে নিম্নে দেয়া আবেদন লিংকে প্রবেশ করুন। এবার SSC ও HSC পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিঃ নম্বর, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে Next বাটনে ক্লিক করুন।
Application Link
যারা বাউবি থেকে তাদের জন্য : যেসব শিক্ষার্থী বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি বা এসএসসি পাশ করেছে তারা অনার্সে আবেদন করতে গিয়ে রোল নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিতে পারে না। তারা যেভাবে আবেদন করবে তার নিয়ম হচ্ছে, তাদের যে স্টূডেন্ট আইডি নম্বর আছে ঐটাই রোল নম্বর। তাহলে রেজিস্ট্রেশন নম্বর কোনটা? উত্তর হচ্ছে তাদের ঐ স্টূডেন্ট আইডি নম্বরের শেষ ৬ ডিজিট-ই হচ্ছে রেজিস্ট্রেশন নম্বর। তবে ঐ ৬ ডিজিট ডেস (-) ছাড়া বসাতে হবে। এভাবে উন্মুক্ত থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসি রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়া হয়। নিম্নের ছবিতে দেখুন :
দ্বিতীয় ধাপ : এই ধাপে আবেদনকারী তার SSC ও HSC পরীক্ষার ফলাফলসহ সব তথ্য দেখতে পাবে এবং নিচের দিকে গেলে আবেদনকারীর নামসহ তার পিতা-মাতার নাম, জন্মতারিখ এবং লিঙ্গ অপশন দেয়া থাকবে, সেই অপশন ভাল করে দেখবেন যে কি দেওয়া আছে। (এখানে কোনো ভুল হলে অবশ্যই সঠিক লিঙ্গ দিবেন) তারপর Next বাটনে ক্লিক করুন।
তৃতীয় ধাপ : তারপর যে পেজ আসবে সে পেজের একেবারে বাম দিকের প্রথম কলামে দেখতে পাবেন Eligible Subject List (অর্থাৎ যেসব বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে তা) দেওয়া আছে। এই তালিকা থেকে আপনি জানতে পারবেন যে, আপনি কি কি বিষয় নিয়ে অনার্সে পড়তে পারবেন। নিম্নের ছবিতে দেখুন :
তারপর দ্বিতীয় কলাম থেকে আপনাকে কলেজ নির্বাচন করতে হবে। উল্লেখ্য যে, শুধুমাত্র একটি কলেজে আবেদন করতে পারবেন। কলেজ সিলেক্ট করতে আপনাকে প্রথমে বিভাগ নির্বাচন করতে হবে। তারপর জেলা নির্বাচন করতে হবে। (অবশ্য আপনি যে কলেজ চয়েজ দিতে চান সেই কলেজ যে বিভাগ ও জেলায় অবস্থিত, আপনাকে সেসব বিভাগ ও জেলার নাম দিতে হবে) এবং সব শেষে নিচের বক্স থেকে ঐ ভর্তিচ্ছু কলেজের নাম নির্বাচন করতে হবে।
এরপর তৃতীয় কলামে আপনি Subject choice করার অপশন পাবেন এবং কোন বিষয়ে কতটি সিট আছে, তাও ডান পাশে দেখতে পাবেন। এখন আপনি যে সাবজেক্টি প্রথম চয়েজ দিবেন, সেটাতে প্রথমে ক্লিক করুন। তারপর, দুই নম্বরে যে সাবজেক্ট চয়েজ দিবেন সেটাতে ক্লিক করুন। এভাবে একের পর এক সাবজেক্ট চয়েজ করতে পারবেন। উল্লেখ্য সাবজেক্ট চয়েজ খুভ সাবধানে দিবেন। সাবজেক্ট চয়েজ করা শেষ হলে Next বাটনে ক্লিক করুন।
চথুর্থ ধাপ : এখন যে পেজ আসবে তাতে কোটা দেয়া থাকবে। আপনার যদি কোনো কোটা থাকে তাহলে Yes অপশনে ক্লিক করে কাঙ্ক্ষিত কোটা সিলেক্ট করূন এবং যে ধরনের কোটা আছে তা সিলেক্ট করুন। আর যদি কোটা না থাকে তাহলে No অপশনে ক্লিক করে Next বাটনে ক্লিক করূন।
পঞ্চম ধাপ : এই পর্যায়ে আবেদনকারীর একটি ছবি, একটি মোবাইল নম্বর এবং একটি ই-মেইল প্রদান করতে হবে। ছবিটি অবশ্যই ১৫০ পিক্সেল উচ্চতা, ১২০ পিক্সেল প্রস্থ এবং সাইজ ৫০ কেবি সহ png ফরম্যাটে হতে হবে। মোবাইল দিয়ে পাসপোর্ট সাইজ ছবি তৈরি করার নিয়ম নিম্নে দেখুন :
সর্বশেষ ধাপ : preview application অপশনে ক্লিক করে দেখুন আপনার দেওয়া তথ্য ঠিকটাক আছে কিনা। আপনি নিশ্চিত হলে নিচে থাকা Submit Application অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর pdf আকারে নিম্নোক্তভাবে একটি ফাইল (ফরম) আসবে সেটাতে ক্লিক করে ফরমটি ডাউনলোড করুন এবং উক্ত ফরমটি [A4 (8.5″*11″) অফসেট সাদা কাগজে] প্রিন্ট করে নিন। তবে আপনি চাইলে পরবর্তীতেও ঐ ডাউনলোড ফাইল থেকে কম্পিউটার ঘর থেকে প্রিন্ট কপি করে বের করতে পারবেন।
এবার আবেদন ফি বাবদ ৩৫০/- ভর্তিচ্ছু কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মার্চেন্ট নম্বরে টাকা জমা দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে কলেজে আবেদন করেছেন সে কলেজে নোটিশের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার নম্বর জানিয়ে দিবে। আপনি চাইলে উক্ত কলেজের ফেসবুক পেইজ বা গ্রুপ অথবা ওয়েবসাইট থেকে নম্বর সংগ্রহ করতে পারবেন। → মোবাইল দিয়ে আবেদন ফি পাঠানোর নিয়ম নিম্নে দেখুন
মোবাইল দিয়ে পাসপোর্ট সাইজ ছবি বানানোর নিয়ম
আবেদনের জন্য ছবি এডিট করতে প্রধানত দুইটা কাজ করতে হয়। এক : ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ ও কলার পরিবর্তন করা। দুই : ছবিটা রিসাইজ করা। আমি উভয় কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিব। তাও কোনো এপ ইন্সটল করা ছাড়া। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক :
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ ও কলার পরিবর্তন করার আগে ছবিটি আনুমানিক পাসপোর্ট সাইজ বা বুক পর্যন্ত ক্রোপ (crop) করে নিবেন। তারপর আপনি এই সাইটে যাবেন। তারপর ছবি আপলোড করবেন। ক্যাপচা পূরণ করতে বললে i am not human বলে ক্যাপচা পূরণ করুন। তারপর দেখবেন ছবিটি অটোমেটিক ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ হয়ে গেছে।
এখন কালার পরিবর্তন করতে Edit অপশনে ক্লিক করুন। তারপর নিচের দিকে কয়েকটা ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ আসবে সেখান থেকে আপনি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সিলেক্ট করুন। বেস! মূহুর্তের মধ্যে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ও কালার পরিবর্তন হয়ে গেল। এবার ডাউনলোড এরো থেকে ছবিটি ডাউনলোড করুন।
আবেদন করার ছবি ১৫০ বাই ১২০ পিক্সেলে পরিবর্তন করতে প্রথমে আপনি এই সাইটে যান। তারপর (Select image এ ক্লিক করে) ছবি আপলোড করুন। ছবি আপলোড হয়ে গেলে dimansions এ ক্লিক করুন। তারপর width 120 ও height 150 দিয়ে Resize অপশনে ক্লিক করুন। তারপর ছবিটি ডাউনলোড করুন। বেস ছবিটি এখন আবেদন ফরমে দেয়ার উপযোগী হয়ে গেল!
আবেদন ফরম বাতিল বা সংশোধন করার নিয়ম
আবাদেনকারী আবেদন করার সময় ছবি ভুল দিলে বা হলে তা সংশোধন করতে পারবে। এমনকি আবেদনকারী তার আবেদন বাতিলও করতে পারবে। তবে এই সুযোগ মাত্র একবারই পাবে। যাইহোক আবেদন ফরম বাতিল বা সংশোধন করার নিয়ম নিম্নরুপ ;
আবেদনকারিকে প্রথমে এই লিংকে ক্লিক করে ভর্তি রোল ও পিন নম্বর দিতে হবে। এরপর বাম পাশে থাকা মেনু বার থেকে Form Cancel / Photo change option এ ক্লিক করে Click to generate the security key অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আবেদন ফরমে উল্লিখিত আবেদনকারির মোবাইলে একটা One Time Password (OTP) যাবে। এখন ঐ otp দিয়ে আবেদনকারী তার পূর্বের আবেদন বাতিল করে নতুনভাবে আবেদন ফরম পুরণ সহ ছবি পরিবর্তন করতে পারবে।
তবে কলেজ কর্তৃক আবেদনকারীর আবেদন নিশ্চায়ন করা হয়ে গেলে তা আর সংশোধন করা যাবে না এবং আবেদনকারী তার ছবি মাত্র একবারই পরিবর্তন করার সুযোগ পাবে।
আবেদন ফি জমা দেয়ার নিয়ম
আবেদন ফি বিভিন্ন মাধ্যমে দেয়া যায়। যথা : নগদ, শিওরক্যাশ ও বিকাশ। তবে আপনাকে কোন মাধ্যমে টাকা পে করতে হবে সেটা ভর্তিচ্ছু কলেজের ওয়েবসাইট বা ফেসবুক গ্রুপ বা পেইজ থেকে জানতে পারবেন। যাইহোক আমি এখন দেখিয়ে দিব যেভাবে নগদের মাধ্যমে অনার্স ভর্তির আবেদন ফি জমা দিবেন :
- নগদ এপ থেকে টাকা পে করার নিয়ম : নগদ এপে প্রবেশ করে বিল পে বাটনে ক্লিক করুন। তারপর Biller AC Number দিন (অর্থাৎ আপনার ভর্তিচ্ছু কলেজ যে নম্বর দিবে সেই নাম্বার দিন। নাম্বার দেওয়ার সাথে সাথে কলেজের নাম আসবে তাতে ক্লিক করুন। তারপর আপনার Student ID number দি্যে next বাটনে ক্লিক করুন। অর্থাৎ আবেদন ফরমে যে স্টুডেন্ট আইডি নাম্বার দেয়া থাকবে সেটা দিবেন। তারপর টাকার পরিমাণ দিয়ে পিন দিয়ে ট্যাপ করে ধরে রাখুন। বেস! পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে সাকসেসফুল মেসেজ মোবাইলে আসবে।
- নগদ এপ ছাড়া টাকা পে করার নিয়ম : প্রথমে *167# ডায়াল করুন। তারপর Bill Pay সিলেক্ট করুন। তারপর Others সিলেক্ট করুন। সহজে খুজে পেতে ১১ লিখে সেন্ড করুন। তারপর Biller AC Number দিন বেছে নিতে ১ লিখে সেন্ড করুন। এবার Biller AC Number দিন (অর্থাৎ আপনার ভর্তিচ্ছু কলেজ যে নম্বর দিবে সেই নাম্বার দিন। তারপর আপনার Student ID number লিখে সেন্ড করুন এবং সবশেষে পিন নম্বর দিয়ে সেন্ড করুন। বেস! পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে সাকসেসফুল মেসেজ মোবাইলে আসবে।
টাকা পে করার পর করণীয়
ফি জমা দেয়ার পর আপনার আবেদন ফরমে দেওয়া নম্বরে পেমেন্ট সাকসেসফুলি একটি মেসেজ আসবে। এমতাবস্থায় আপনার আবেদন পুরোপুরিভাবে সম্পূর্ণ হবে। তবে আপনি চাইলে পেমেন্ট করতে দেরি করতে পারবেন। অর্থাৎ ফি জমা দেওয়ার মধ্যে যেকোনো সময় ফি জমা দিলেই হবে।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃক যদি প্রাথমিক আবেদন নিশ্চায়ন করার কোনো মেসেজ আবেদনকারীর মোবাইলে না আসে তখন অবশ্যই কলেজের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কারন সংশ্লিষ্ট কলেজ প্রাথমিক আবেদন নিশ্চায়ন না করলে পরবর্তীতে কেউ ভর্তি হতে পারবে না। এমনকি রিলিজ স্লিপেও আবেদন করতে পারবে না। তাই বিষয়টি খুভই গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
তবে ২-৩ দিন অপেক্ষা করার পরও আবেদনকারীর মোবাইলে কোনো মেসেজ না আসলেও অনলাইনের মাধ্যমে জানা যাবে যে নিশ্চায়ন করা হয়েছে কিনা। তা জানতে এই আর্টিকেল পড়ুন।
আবেদন ফরমের সাথে যা যা জমা দিতে হবে
আবেদনকারীকে প্রথমে প্রিন্ট করা প্রাথমিক আবেদন ফরমটির নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে। তারপর উক্ত আবেদন ফরমের সাথে প্রার্থীর SSC ও HSC / সমমান পরিক্ষার সত্যায়িত নম্বরপত্র / মার্কশীট এর ফটোকপি এবং প্রার্থীর SSC ও HSC / সমমান পরিক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি, এবং আবেদন ফি বাবত ৩৫০/- টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।
প্রাথমিক আবেদন করার পর করণীয়
প্রাথমিক আবেদন করার পর কিছুই করতে হবে না। তবে প্রাথমিক আবেদনের ফি জমা দেওয়ার পর কলেজ থেকে যদি প্রার্থীর মোবাইলে SMS না আসে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারবেন যে আপনার আবেদনের ফি কলেজে জমা হয়েছে কি না। তা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আবেদন ফরম জমা দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে আবেদনকারী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হলে সংশ্লিষ্ট কলেজ আবেদনকারীর প্রাথমিক আবেদন Online -এ নিশ্চায়ন করবে এবং সে সকল আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, প্রাথমিক আবেদন নিশ্চায়ন ব্যতীত কোন প্রার্থীই ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। কলেজে আবেদনের ফি জমা দেওয়ার পরে প্রার্থী তার মোবাইল ফোনে SMS না পেলে বুঝতে হবে যে, তার আবেদন কলেজ কর্তৃক নিশ্চায়ন করা হয়নি। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট কলেজে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করতে হবে অথবা অনলাইনে চেক করে নিতে হবে।
ebr 21-22 saler honurs ee onlinee apply korar por apply form & 250 tk er sathe clge ki ki document joma detey hbe?
পোষ্টের মধ্যে বলা হয়েছে দেখে নাও
টাকা পেমেন্ট করবো কিভাবে?
পোষ্টের মধ্যে তো সবই বলা হয়েছে!!!
→শুনুন, টাকা পে আলাদাভাবে অনলাইনে আবেদন করার পর করতে হয় (বি.দ্র আবেদন করার পর পরই টাকা পে করতে হবে বিষয়টি এমন নয়) আর একেক কলেজ একেক ভাবে টাকা জমা নেয়, সেটা ভর্তিচ্ছু কলেজের নোটিশ থেকে জেনে নিতে হবে। আর আমার এখানে শুধু বিকাশের মাধ্যমে টাকা জমা দেয়ার পদ্ধতি বলা আছে।
আমি কিভাবে বে সরকারি কলেজে আবেদন করব?
সরকারি বেসরকারি উভয়ের নিয়ম একই
আমি ২০১৮ তে এসএসসি, ২০২০ এইচএসসি আমি কি ২০২৩ এ আবেদন করতে পারবো?
না
আমি ২০১৩ সালে বাউবি থেকে বি এস এস পাস করেছি এখন কি প্রাইভেট এ মাস্টার্স করতে পারবো।
না
আচ্ছা, সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসের মধ্যে কোনটি তে অনার্স করলে ভালো হয়?
বললে ভালো হতো।
সমাজবিজ্ঞান
আমি ভর্তি হতে চাই সুন্দরবন কলেজ, খুলনা। কিন্ত ভুলবশত যশোর সরকারি সিটি কলেজটি সিলেক্ট করে ফেলেছি এবং কলেজ কর্তৃক টাকা নিশ্চয়ন এর মেসেজটি চলে এসেছে। আমি এখন সুন্দরবন কলেজে ভর্তি হতে চাই। আমার পরবর্তী করণীয় কি???? উক্ত ভুলটি সংশোধনের উপায় কি????
তাড়াতাড়ি আবেদন ক্যানসেল করেন এবং নতুন করে আবেদন করেন। যদি কলেজ আপনার আবেদন রিসিভ করে তাহলে আর ক্যানসেল করতে পারবেন না।
ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সময় টাকা পরিশোধ করলে ওই ভর্তির আবেদন পরে কি বাতিল করা যায়?
যদি কলেজ রিসিভ না করে তাহলে পারবেন।
অনার্সের প্রথম চয়েজে কি কোন ফরম জমা দেয়া লাগবে
ha, obossoi joma deya lagbe.
যদি টাকা পাঠানো হয় কিন্তু কলেজে কাগজ সাবমিট করা না হয় তবে এর মধ্যে কি আবেদন সংশোধন বা কলেজ পরিবর্তন করে নতুন করে আবেদন করা যাবে?
কলেজ রিসিভ করেছে কিনা সেটা আসল। টাকা জমা দেয়ার পর কলেজ রিসিভ করে ফেললে আর সংশোধন করা যাবে না।
রিলিজ স্লিপ এর মাধ্যমে ২০২৩ এর অনার্স এর আবেদন কী শুরু হয়েছে?
রিলিজ স্লিপটা কী একটু বুঝিয়ে বলবেন, কেউ? প্লিজ।
না, এখনও শুরু হয়নি। অনার্স ১ম রিলিজ স্লিপ আবেদন ২০২৩ সহ বিস্তারিত
অনার্স এবং প্রফেশনাল অনার্স কি একই বিষয়?
না, দুটিতে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় রয়েছে। অনার্সের চেয়ে অনার্স প্রফেশনালের মান ভালো।