হঠাৎ কোনো মাসে ১০ দিনের বেশি মাসিক (স্রাব) হলে করণীয় বা বিধান
যদি কোনো মহিলার ৩, ৪ বা ৫-৯ দিন মাসিক হওয়ার অভ্যাস থাকে, কিন্তু হঠাৎ কোনো মাসে ১০ দিনের বেশি মাসিক হয়। তখন তার পূর্বে যতদিন মাসিক হওয়ার অভ্যাস ছিল, ঠিক ততদিন হচ্ছে মাসিক অর্থাৎ ঠিক ততদিন তার মাসিকের হিসাব ধরবে। আর বাকি দিনগুলো ইস্তেহাযা (রোগ) ধরবে। এমনকি ১০ রাত্রের চেয়ে এক মুহুর্তও বেশি রক্ত দেখা গেলে, তখন তার পূর্বের অভ্যাস অনুযায়ী মাসিকের হিসাব করতে হবে।
তবে যদি কোনো মহিলার ৪ দিন মাসিক হওয়ার অভ্যাস থাকে, কিন্তু হঠাৎ কোনো মাসে ৫ বা ৭ বা ৯ দিন মাসিক হয়। এমতাবস্থায় তাকে এই ৫ বা ৭ বা ৯ দিনকে মাসিক ধরে নিতে হবে।
আর যদি কোনো মহিলার ৩ দিন মাসিক হওয়ার অভ্যাস থাকে, আর হঠাৎ কোনো মাসে ৫ দিন মাসিক হয় কিন্তু পরের মাসে ১৫ দিন মাসিক হয়। তাহলে এমতাবস্থায় পূর্ববতী মাসে হওয়া ৫ দিনকে মাসিকের অভ্যাস ধরতে হবে আর বাকি ১০ দিন ইস্তেহাযা তথা রোগ ধরে নিতে হবে। মনে করতে হবে যে তার অভ্যাস পরির্তন হয়েছে আর এই ১০ দিনের নামায কাযা আদায় করা ওয়াজিব
অথবা (মনে করুন) কোনো মহিলার মাসিকের কোনো নির্দিষ্ট দিন ছিল না। অর্থাৎ কোনো মাসে ৪ দিন, কোনো মাসে ৭ দিন, আবার কোনো মাসে ১০ দিনও হত। তাহলে এই সব ক’টা দিনই তাকে হায়েয বা মাসিক ধরতে হবে।
কিন্তু এমতাবস্থায় হঠাৎ কোনো মাসে ১০ দিন ১০ রাতের চেয়ে বেশি স্রাব হলে, তাকে দেখতে হবে যে, তার পূর্ববর্তী মাসে কত দিন মাসিক হয়েছিল? এমতাবস্থায়তার পূর্ববর্তী মাসে যত দিন মাসিক হয়েছিল, ঠিক ততদিন তার মাসিক ধরে নিতে হবে।
আর যদি কোনো মেয়ের প্রথম মাসিক শুরু হয়ে ১০ দিন ১০ রাত অতিক্রম করে। তাহলে তাকে ১০ দিন ১০ রাতের পর গোসল করে পবিত্র হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্রঃ- বেহেশতি জেওর ১ম খন্ড।