একজন শিক্ষার্থী অথবা তার পরিবারের কারোর যদি বিকাশ থাকে, তাহলে সে ঘরে বসেই অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন ২০২৩ করতে পারবে। কেননা একাদশ শ্রেণিতে আবেদন করার পর কোনো ফরম কলেজে জমা দিতে হয় না। ফলে একদম ঘরে বসেই অনলাইনের সকল কাজ করা যাবে। তাহলে চলুন! বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক :
Update : ৪র্থ পর্যায়ের আবেদন ০৮/১০/২০২৩ তারিখ রাত ১২ টা হতে ০৯/১০/২০২৩ তারিখ রাত ১১ টা পর্যন্ত করা যাবে। পোস্টটি সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে ০৫ অক্টোবর ২০২৩
কলেজে ভর্তির আবেদনের সময়


আবেদন করার আগে যা জানতে হবে
১) আবেদনের সময় যে মোবাইল নম্বরটি দিবে, তা অবশ্যই ভর্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সচল রাখতে হবে। তাই এমন কোনো নাম্বার দিবে না, যা অব্যবহৃত বা বন্ধ থাকবে।
২) তাছাড়া এমনভাবে মোবাইল নম্বর দিতে হবে যাতে পরিবর্তন করার প্রয়োজন যেন না হয়। কেননা মোবাইল নাম্বার পরে পরিবর্তন করা যাবে না।
৩) আর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিজ নিজ মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে। একই মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর আবেদন করা যাবে না।
৪) জেনারেল বা মাদ্রাসা অথবা কারিগরি শিক্ষার্থী সবাইকে একই পদ্ধতিতে আগে আবেদন ফি দিয়ে পরে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
৫) একজন শিক্ষার্থী একই প্রতিষ্ঠান বা কলেজ বা মাদ্রাসার একাধিক গ্রুপ/শিফট/ভার্সনে আবেদন করতে পারবে এবং তা একটি কলেজ হিসেবে গণ্য হবে।
৬) আগেবাগে তোমাকে একটা কলেজ তালিকা বানাতে হবে। যদি এখনও না বানিয়ে থাক, তাহলে এখনই বানিয়ে নাও। নিম্নের লিংক থেকে তোমার এলাকার বিভিন্ন কলেজের পয়েন্ট ও আসন দেখে কলেজ লিস্ট বানাতে পার।
৭) ২য় বা ৩য় পর্যায়ে যারা আবেদন করবে তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে তাড়াহুরা না করে সময় নিয়ে কলেজের ফাকা সিট দেখে আগে একটা চয়েজ লিস্ট বানাবে। পরে আবেদন করতে যাবে।
কলেজে ভর্তির আবেদন করতে কি কি লাগে
- এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন নম্বর
- এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর
- একটি সচল মোবাইল নম্বর
- এবং আবেদন ফি ১৫০ টাকা
অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন ২০২৩
একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন ২০২৩ করার প্রথমে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। এরপর অনলাইনে আবেদন করতে হবে। গতবারের মত এবারও অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০ টি কলেজে এবং সর্বনিম্ন ৫টি কলেজে আবেদন করা যাবে।
উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ৫ টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- টাকা দিতে হবে, আবার ১০টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- টাকা দিতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : যারা ৪র্থ পর্যায়ে আবেদন করবে তারাও একই নিয়মে আবেদন করবে।
বিকাশের মাধ্যমে আবেদন ফি প্রদানের নিয়ম
বিকাশের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণির আবেদন ফি প্রদান করলে কোনো সার্ভিস ফি চার্জ হবে না। যদিও ৩ টাকা কেটে নিবে কিন্তু তা আবার ফেরত দিয়ে দিবে। বিকাশের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ ও আবেদন ফি দেওয়ার পদ্ধতি :
প্রথম ধাপ : বিকাশ এপের হোম পেইজে যান এবং সেখান থেকে ‘এডুকেশন ফি’ আইকনে ক্লিক করুন। (উক্ত আইকন খুজে না পেলে “আরও দেখুন বা see more” অপশনে ক্লিক করুন। তারপর বিলের তালিকা থেকে ‘xi class admission’ সেলেক্ট করুন।
দ্বিতীয় ধাপ : এবার বোর্ডের নাম ও পাশের সন সিলেক্ট করে এসএসসি রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিন। তারপর পেমেন্ট -এর তথ্য যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যান।
তৃতীয় ধাপ : তারপর পিন নাম্বার ট্যাপ করে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে গেলে কনফার্মেশন মেসেজ ও বিল পেমেন্ট মেসেজ পাবেন।
চতুর্থ ধাপ : পরবর্তী ব্যবহারের জন্য ট্রান্সজেকশন আইডি সংরক্ষণ করুন। নিম্নোক্তভাবে মোবাইলে কনফার্মেশন মেসেজ আসবে।

অন্যান্য পদ্ধতিতে আবেদন ফি জমা দেয়ার নিয়ম এখানে দেখুন
কলেজে ভর্তির আবেদনের মূল নিয়ম
একজন শিক্ষার্থী নিজে নিজে তার মোবাইল থেকে কলেজে ভর্তির আবেদন ২০২৩ করলে সে তার ইচ্ছামত পছন্দের কলেজে আবেদন করতে পারবে। ফলে পছন্দের তালিকাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। আবেদন কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। নিচে ছবিসহ বিস্তারিত দেয়া হলো :
১ম ধাপ : প্রথমে নিম্নোক্ত আবেদন লিংকটিতে ক্লিক কর। এখন সেটি তোমার মোবাইলের কোন এক ব্রাউজারে অপেন হবে। এবার Apply Now বাটনে ক্লিক কর। অথবা লিংকটি কপি করে তুমি তোমার পছন্দের ব্রাউজারে ওপেন কর। তবে Chrome ব্রাউজার হলে বেস্ট হবে।
http://xiclassadmission.gov.bd/
২য় ধাপ : এবার নিজের এসএসসি রোল দেও। পরে তোমার বোর্ড ও এসএসসি পাশের সাল সেলেক্ট করে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেও। নিচের দিকে থাকা ‘ভেরিগিকেশন বক্সের’ বাম পাশে একটি সংখ্যা দেখতে পারবে, হুবহু ঐটা ‘ভেরিগিকেশন বক্সে’ বসাও। এবার next বাটনে ক্লিক কর।
যারা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছ, তাদের রোল নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর একই বলে বিবেচিত হবে। এ জন্য রোল নম্বরে অন্তর্ভুক্ত ‘-‘ চিহ্নটি বাদ দিতে হবে।

৩য় ধাপ : এবার তুমি তোমার এসএসসির রেজাল্ট সহ তোমার পিতা, মাতার নাম সহ একটা সংক্ষিপ্ত তথ্য দেখতে পারবে। অবশ্যই তুমি এটা ভালো করে মিলিয়ে নিবে যে সঠিক আছে কিনা।
সঠিক হলে নিচের দিকে গিয়ে মোবাইল নাম্বারের জায়গায় মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। পাশে আবার নাম্বারটি দিতে হবে। অবশ্যই এটা সচল নাম্বার হতে হবে। এখন তুমি চাইলে তোমার গার্জিয়ানের NID কার্ডের নাম্বার দিতে পার। না দিলেও চলবে এবং পরে গার্জিয়ানের সাথে তোমার সম্পর্ক কি সেটা সেলেক্ট করে দিবে।
একেবারে নিচের দিকে কোটা সেলেক্ট করতে হবে। যদি তোমার কোনো কোটা থাকে তাহলে যে কোটা আছে সেটা সেলেক্ট করে দিবে। এখন আবার next বাটনে ক্লিক কর।

৪র্থ ধাপ : এবার তোমাকে কলেজ সিলেক্ট করতে হবে এবং প্রতিটি কলেজ সিলেক্ট করার আগে প্রত্যেক কলেজের বোর্ড, জেলা, থানা, কলেজের নাম, শিফট, ভার্সন, গ্রুপ, কোটা থাকলে কোটা সেলেক্ট করতে হবে। সবকিছু সেলেক্ট করা হয়ে গেলে শেষে Add this college অপশনে ক্লিক করতে হবে। ফলে কলেজ সেলেক্ট হয়ে যাবে।

এভাবে তুমি সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। অবশ্যই তুমি যে কলেজটিতে ভর্তি হতে চাও সেটা প্রথমে সেলেক্ট করবে।
এখন যদি তুমি ভুল করে ভিন্ন কলেজ প্রথম চয়েজ দিয়ে ফেল, তাহলে সেটা Delete করার সুযোগ পাবে। সে জন্য যেখানে কলেজের নাম আসবে, তার একদম ডান পাশে ডিলিটের একটা চিহ্ন পাবে, অটাতে ক্লিক করলে কলেজ ডিসিলেক্ট বা ডিলিট হয়ে যাবে। অথবা
Priority চেঞ্জ করলেই পারবে। তোমরা নিচে দেখ, আমি প্রথম কলজের priority ২ আর দ্বিতীয় কলেজের Priority ১ রাখছি। এটা কিভাবে করলাম? খুভ সোজা! শুধু এডিট করে বসিয়েছি। এভাবে তোমাদের কলেজ তালিকা সাজাতে পারবে। মনে রাখবে কোন কলেজ কত নম্বর Priority তে আছে সেটা হচ্ছে আসল বিষয়। কেননা Priority অনুযায়ী তোমাকে চান্স দেওয়া হবে।

এভাবে তুমি তোমার পছন্দের কলেজ সমূহ সাজিয়ে নিতে পার। কলেজ লিস্ট সাজানো হয়ে গেলে এবার Preview Application এ ক্লিক কর।
৫ম ধাপ : এই ধাপে তুমি তোমার কলেজ তালিকা বড় আকারে দেখতে পারবে। ভালোকরে দেখে নিবে সবকিছু ঠিকটাক মত আছে কিনা। যদি না হয়, তাহলে Continue to Edit বাটনে ক্লিক করলে পূর্বের ধাপে চলে যেতে পারবে। আর ঠিক হলে Submit Application এ ক্লিক কর।

৬ষ্ট ধাপ : এখন তোমার সামনে একটি মেসেজ আসবে যে We have successfully received your online application.
পাশাপাশি একটু আগে আবেদন করার সময় যে নাম্বার দিয়েছিলে ঐ নাম্বারে ৬ ডিজিটের একটা সিকিউরিটি কোড যাবে। ঐটা সংরক্ষণ করে রাখবে।

বেস! তোমার আবেদন সম্পুর্ণ হয়ে গেল। এখন তুমি চাইলে ঐ ধাপে থাকা অবস্থায় Print অপশনে ক্লিক করে তোমার আবেদন ফরম টা ডাউনলোড করে নিতে পার। এটা না করলেও সমস্যা নেই।
আরও দেখুন
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২৩ সকল তথ্য দেখুন
আরও দেখুন : ৪র্থ পর্যায়ে আবেদন বিজ্ঞপ্তি ও করণীয়
স্যার! আমি ইন্টার পাস ইয়ারে আবেদন করেছি তারপর মানিকছড়ি কলেজে সিট পেয়েছি কিন্তু ৩২৮ টাকা দিয়ে কনফার্ম করতে পারি নি..
সে প্রেমেন্ট টা কি এখন কার কোন অপশন আছে?
না এবং তোমার আবেদনও বাতিল হয়ে গেছে। এখন চতুর্থ পর্যায়ে আবেদনের জন্য অপেক্ষা কর।
স্যার আমি ১ম বার hsc আবেদন করেছি কিন্তু স্যার আমি কনফার্ম করিনি। স্যার আমি ১৩ সেপ্টেম্বর এ আবেদন করেছি এইটা কি গ্রহণ যোগ্য হবে?
অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।
আমার বড় যে কলেজে পড়ছে আমি কি সেই কলেজে পড়তে পড়তে পারি??
আমার নাম্বার বেসি না।কোন কিছু কি করা যায়??
কলেজ ট্রান্সফার এর জন্য চেষ্টা করতে পারো।
স্যার আমি কলেজ কনফার্ম করি নাই। এখন আরেকবার কিভাবে অনলাইনে সেই কলেজে এডমিশন হবো? আপনারা প্লিজ চেষ্টা করবেন যেন ৪র্থ বার আবেদন করতে পারি, আমি কনফার্ম করবনাই।😭 প্লিজ আপনারা একটু চেষ্টা করেন, নইলে ১ বছর বসে থাকতে হবে
৪র্থ পর্যায়ে আবেদন নিবে নাকি নিবে না, সে বিষয়ে আমাদের হাত নেই। তবে যদি ৪র্থ পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ দেয় তাহলে পারবেন আর অবশ্যই কলেজ চয়েজ দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং নিয়মমত আবেদন করতে হবে।
একাদশ শ্রেণিতে কি ৫ম পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ হবে কিনা, ভাইয়া যদি একটু বলেন।
সঠিক জানিনা।
আমি ২০১১ সালে কলেজে ভর্তি ছিলাম,, ফাইনাল পরীক্ষা দেয়নি,, দিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়া যাবে ২৪ সালে এখন কি পুনরায় ভর্তি হওয়া যাবে
প্রাইভেটে ভর্তি হতে হবে।
তাড়াতাড়ি আপডেট দিন
ধন্যবাদ! কালকে রাতে আপডেট দিব। ইন-শা-আল্লাহ!
আমার আবেদন সাবমিট করা শেষ। এখন নিশ্চায়ন কিভাবে করবো? জানালে উপকৃত হতাম।
নিশ্চায়ন এখন করতে হবে না। ভর্তি রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পর নিশ্চায়ন করতে হয়। তাই আপাদত ০৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
ভাই, আমার কলেজের আবেদন আমার অভিবাবক করেছে। এখন কলেজ প্রায়োরিটি তে একটু উলোট পালোট হয়ে গেছে। এখন এটা চেঞ্জ করার কি কোনো উপায় আছে? থাকলে কিভাবে করবো?
অবশ্যই! আছে। আমি এ নিয়ে একটা পোস্ট দিব। ইন-শা-আল্লাহ! অপেক্ষা করেন।
ধন্যবাদ এ সুন্দর তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য!!
আপনাকেও ধন্যবাদ অতি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য!
ভাই আমার সিকিউরিটি কোড হারিয়ে গেছে ঐটা কোনো কাজে লাগবে?
হ্যা, ভর্তির সময় লাগবে। করে সিকিউরিটি কোড রিকভার করে নাও।
আমি আলিয়া মাদ্রাসায় ৩৩৫৳ দিয়ে কনফার্ম করেছি। এখন আমি আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হইতে চাইতেছি না। আমি অন্য কোন কলেজে ভর্তি হইতে পারবো। আমার বন্ধুরা কলেজে ভর্তি হইছে আমার বন্ধুদের সাথে ভর্তি হওয়ার সিস্টেম আছে কি?
যদি ৪র্থ পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ দেয় তাহলে পারবেন।